সিডনিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া’র জাতীয় শোক দিবস পালন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গত ১৯ সে অগাস্ট (রবিবার) সন্ধ্যায় সিডনিস্থ ইঙ্গেলবার্ন লাইব্রেরি হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় জাতীয় শোক দিবস পালন করে। সংগঠনের সভাপতি রতন কুন্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ও খাইরুল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোঃ সুফিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়ানের প্রতিনিধি মার্ক কোরে এমপি, মেম্বার অফ ওয়াটলে, ম্যাকুড়িফিল্ডের এমপি অনুলাক চান্টিভং, ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিল মেয়র জর্জ ব্রটিচভিচ, গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসাইন প্রমুখ। অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ম্যাকুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রাক্তন ডীন রফিকুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাইয়ুম পারভেজ, মাসুদুল হক, অরবিন্দ সাহা, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক সহ অন্যান্য একাডেমিকবৃন্দ, সিডনির আওয়ামী ঘরনার ও সামাজিক সংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের সাংবাদিক ও লেখক বৃন্দ।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পর ১৫ অগাস্ট সহ জেল হত্যা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংগঠনের বক্তা, সহযোগী ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের পর বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামক এক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন সৈয়দ আখতার হোসেন বাদল।
দ্বিতীয় পর্বে বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য, নেতৃত্ব, দেশের জন্য কিভাবে জীবন উৎসর্গ করেছেন তার বর্ণনা করেন। সভাপতির ভাষণে রতন কুন্ডু আগত সম্মানিত অতিথিবর্গ, সংগঠনের কর্মীবৃন্দ সহ অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যারা সাহায্য করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহামানব বাঙালি জাতিকে মুক্ত স্বাধীন করে আত্মপরিচয় এনে দিয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই অগাস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানী প্রেতাত্মার দল তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। দৈবক্রমে বেঁচে যাওয়া তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই নৃশংস হত্যার বিচার সহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করেছে। ঘাতকেরা জানতো না ইতিহাস আজ অব্দি কাউকে ক্ষমা করেনি ও ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি। সবাইকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
|