bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












সুন্দর ফন্টের জন্য SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন...


বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবং আমি
আজাদ আলম

প্রস্তুতি পর্ব
আমি কখনই এমন ক্রিকেট পাগল ছিলাম না। নিজে মাঠে খেলেছি অনেক এবং ৭৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে খেলা দেখে আসছিও অনেক। তবে, ব্লাকটাউনের বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচটাই আমার জন্য ছিল টার্নিং পয়েন্ট। হয়ে গেলাম লাল সবুজের ফ্যান। পুরাদস্তুর ক্রিকেট পাগল যাকে বলে। বাংলাদেশের হাজার হাজার লাল সবুজ পতাকা, জার্সি আর সাবাস বাংলাদেশ লেখা হেড ব্যান্ড এ ভরপুর এই পরিবেশ মাঠের খেলার চেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে আমাকে। মাঠে বসেই জীবনের একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, অস্ট্রেলিয়ার যেখানেই বাংলাদেশ খেলবে, সেখানেই দেখতে যাব তাদের খেলা। বিদেশের মাটিতে হাজার হাজার লাল সবুজ পতাকা সমেত প্রাণ ভরে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারব, এই পরিবেশ অন্ততঃ হারাতে চাই না।

প্রথম খেলা

চলো বাংলাদেশ দিয়ে শুরু আমাদের যাত্রা ক্যানবেরায় >

ক্যানবেরায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম খেলা। সঙ্গী সাথি অনেক জুটে গেলো অনেক। আমাদের চেয়ে নতুন প্রজন্মের সংখ্যাই বেশি। আমি স্বপ্নেও ভাবি নি আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের এত প্রবল সাপোর্টার। সারা মাঠ জুড়ে তাদেরই হৈ চৈ । বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চিৎকার। এখানে জন্মেছে, বড় হয়েছে এখানে। বাংলাদেশের জার্সিতে, ফ্ল্যাগে, ঢোল তবলায় নিজেকে জড়িয়ে এভাবে এত আবেগ দিয়ে সাপোর্ট করছে! চোখের কোনে আনন্দের জলবিন্দু জমা হয়েছে অজান্তেই।

< নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশের জন্য ভালবাসা

ক্যানবেরার খেলায় বাংলাদেশ বেশ ভাল খেলেই জিতেছে। মুশফিক আর সাকিবের জুটির অনবদ্য খেলা মনে রাখার মত। দুজনের হাফ সেঞ্চুরি বাংলাদেশের রান নিয়ে যায় ২৬৭। আফগানিস্তানের সবাই আউট হয়ে যায় ১৬২ রানে।বিশ্বকাপের যাত্রাটা শুভ হলো এবং সেই সাথে বেড়ে গেল আশা। বাড়লো আমার মত ক্রিকেট পাগলের সংখ্যা।

দ্বিতীয় খেলা
ব্রিজবেনে। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারণে খেলা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী, তারপরেও অনেকে গেছে মাঠে খেলা দেখতে। উদ্দেশ্য একটাই। যেভাবেই পারে নিজের দেশের দলকে সাপোর্ট করা। ঝড় বৃষ্টির প্রবল আশংকা থাকাতে অনিচ্ছা সত্যেও প্রস্তুতি নেই নি যাওয়ার। ফেসবুকে ব্রিজবেন থাকে এমন বন্ধুদের ছবি দেখে মায়ায় লেগেছিল। বৃষ্টিতেও ছাতা নিয়ে জবুথুবু বসে আছে। এই বুঝি দেশের জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠবে। খেলা শুরু হবে। শেষমেশ খেলা পরিত্যক্ত। বাংলাদেশ তিন পয়েন্ট নিয়ে পুল A তে ২য় অবস্থানে।

তৃতীয় খেলা
স্থান এম সি জি, মেলবোর্ন। অনেকে যারা ক্যানবেরার খেলা মিস করেছে তারা এখন মেলবোর্ন যেতে প্রস্তুত। আমাদের ঘনিষ্ঠ জনদের সাপোর্টার বহর বেড়ে দশ। সবাই প্লেনের টিকেট কেটে প্রস্তুত। খাবার দাবার ব্যাগে ভরাই শুধু বাকি। শ্রী লঙ্কার সাথে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে সেখানে। বন্ধু সার্কেলের অনেকেই প্রায় জোড় করে ছুটি আদায় করেছে যে যার কাজের থেকে। অজুহাত একটাই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা দেখা। জীবনে আবার জুটে কিনা। লাইফ টাইম সুযোগ। প্রাণ প্রিয় দেশটার জন্য চিৎকার করার। বাংলাদেশের পতাকা সমান উঁচুতে উড়ছে শ্রী লঙ্কার ফ্ল্যাগের সাথে। অপূর্ব সে দৃশ্য!

< বাংলাদেশ থেকে আসা টিমের মাস্কাটের সাথে সাপোর্টাররা

মেলবোর্নে আমরা হেরেছি। ভাল খেলে নি বাংলাদেশ। দিলশানের সহজ ক্যাচ ড্রপ করেছে। এর জন্য কারো কোন ক্ষোভ নেই। হার-জিত তো থাকবেই। এখনো সুযোগ আছে কোয়ার্টার ফাইনালে কোয়ালিফাই করার।


চতুর্থ খেলা
স্কটল্যান্ডের সাথে। স্থান নিউজিল্যান্ড । যাই নি। বাংলাদেশের টাইগাররা স্কটল্যান্ডের ৩১৮ রানের বিরাট ইনিংস কে ভয় পায় নি। বেশ বিচক্ষণতার সাথে খেলে জিতে যায় এ খেলায়। মাহমুদুল্লাহর অনবদ্য শত-রান ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। বিশ্ব কাপের এটা ছিল সেকেন্ড হাইয়েস্ট রান চেইজ করে জিতে যাওয়া।

পঞ্চম খেলা
স্থান স্যার ডোনাল্ড ব্রাডম্যান ওভাল, এডিলেড। এখন আমাদের পাঁচ পয়েন্ট। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে হারানো জরুরী। খেলা হবে এডিলেডের মাঠে। দুরু দুরু মন নিয়ে যাচ্ছি। বাসা থেকে বিসমিল্লাহ বলেই রওয়ানা দিলাম। আমি একা। গিন্নী ছুটি পেল না। জিততে আমাদের হবেই। না জিতলে বলা চলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। পরের খেলা নিউজিল্যান্ডের সাথে। তারা যে ফর্মে আছে হারানো কঠিন হতে পারে।

প্লেনে বসেই এই লিমেরিকটা লিখলাম -

জন্ম তোমার যে মাটিতেই হোক শিকড় যদি থাকে রবি নজরুলের বঙ্গে
টাইগার হলো তোমার আসল টিম কি কাজ থেকে অন্য কাহারো সঙ্গে
লাল সবুজের ঝাণ্ডা ধর
বাংলাদেশের জার্সি পর
বাঘের পিটে সওয়ার হয়ে আসবে বিজয় বিশ্ব কাপের এই জঙ্গে।

< বিজয়ের উল্লাস এডিলেডে

মাঠের বেশির ভাগ দর্শকই বাঙ্গালী। লাল সবুজ পতাকায় ভর্তি। বিশাল বিশাল ৬ ৭ টা পতাকা গ্যালারী ছেয়ে রেখেছে। মনে হচ্ছিল বিজয় মিছিলের জন্য তৈরি হয়ে এসেছে এডিলেডের বাংলাদেশীরা। আমি আর দুলাভাই বসেছি। আমাদের আশেপাশে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ কিশোর কিশোরীদের ভিড় বেশি। ফেইস পয়েন্টিং এ বাংলাদেশের পতাকা বা বাঘের মুখ আঁকা। জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে গোটা মাঠ জুড়ে পতাকা দুলে উঠতেই মনে হল আজকে আমরা জিতবই। বাংলাদেশ ব্যাট করে প্রথমে। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি এবং মুশফিকের রানের সুবাদে বাংলাদেশের রান গিয়ে দাঁড়ায় ২৭৫।

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শুরু। শুরু হলো দুলাভাইয়ের দোয়া দরুদ পড়া। প্রথম উইকেট, তারপর ২য় টা পরল। পাশে এসে বসলেন ডারউইন থেকে আসা এক বাংলাদেশি। নিজের থেকেই বললেন, “ভাই, আমি জায়গা চেঞ্জ করলেই উইকেট পরছে। তাই ঐ রো থেকে উঠে এসে এখানে বসলাম। দেখবেন, আর একটা উইকেট পরতে বেশি দেরী হবে না। উইকেট পরলেই এখান থেকে চলে যাব আর এক জায়গায়।”
আমি বললাম, “ জিতবো ইনশা আল্লাহ। সিডনি থেকে এসেছি।ঝালমুড়ি নিয়ে এসেছি। কামর দিলেই উইকেট ঝরে। একটু মুখে দ্যান।”
“তাই নাকি, দ্যান দ্যান ভাই এক মুঠ মুখে দেই। আমার জায়গা চেঞ্জ আর আপনার ঝালমুড়ি, ডাবল একশন হতে পারে। উইকেট না পরে যাবে কোথায়।”
আর এক ক্রিকেট পাগলের ভাব সাবে আমরা ৫ ৭ জন সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাই আর কি। ভদ্রলোক একমুঠ খেয়ে আর একমুঠ মুখে দিলেন। যে কোন ফিকির জিকির করে হলেও আমরা বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখতে চাই।

কিছুক্ষণ বাদেই উইকেট পড়ল। ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেনের উইকেট। তুমুল হৈ হুল্লোড় শেষে দেখি পাশে সেই ভদ্রলোক নেই। জায়গা চেঞ্জ করে দূরে বসেছে। চোখাচোখি হতেই বললেন, “আছি ভাই আছি, যাই নাই, জিতেই তবে হোটেলে যাবো।”

আমার ঝালমুড়ি যাদুর মুড়ি নামে পরিচিত পেল মুহূর্তের মধ্যে। আমরা বয়স্করা কি পাগল তার চেয়ে ঢের বেশি পাগল কিশোর কিশোরীরা। কি বিশাল আশা নিয়ে মাশরাফি, রুবেল, তাসকিন আর সাকিবের প্রত্যেকটা বলের সাথে সাথেই বাঘের হুঙ্কার দিচ্ছিল সবাই। ওদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নিমিষেই শেষ হয়ে গেল তিন তিনটা প্যাকেট।

< মাঠে বাংলাদেশ টিমের জয় উল্লাস, কোয়ার্টার ফাইনালে আমরা

৪৯ তম রুবেলের ওভার। শেষ দুই উইকেট পড়ার সাথে সাথেই উল্লাসে ফেটে পড়লো গোটা স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ বাংলাদেশ জয়ধ্বনিতে মুখরিত আশপাশ। ঢোল বাঁশির শব্দ বেড়ে গেল তিন গুন। ভালো খেলেই জিতে গেলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন কোয়ার্টার ফাইনালে।


ষষ্ঠ খেলা
হ্যামিল্টন, নিউজিল্যান্ডে। বাংলাদেশ জিতে নি বটে, তবে নিউজিল্যান্ডের অবস্থা বেগতিক ছিল বেশ। খেলার রেজাল্ট বিপরীত হতে পারতো সাকিবের বদলে রুবেল ৪৯ তম ওভারটা বল করলে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছাড়া আর অন্যকোন গেমে নিউজিল্যান্ডের এরকম হার্টবিট বাড়ে নি। সাবাস বাংলাদেশের লিলিপুটেরা।

কোয়ার্টার ফাইনাল
< মেলবোর্ন যাওয়ার প্রাক্কালে। কোয়ার্টার ফাইনাল

স্থান বিখ্যাত এম সি জি, মেলবোর্ন। আমাদের ক্রিকেট পাগল দলটির সদস্য সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সিডনির ব্লাকটাউনের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে আমরা ছিলাম পাঁচজন। তা বেড়ে দাঁড়ালো পঁচিশ জনে। এরা শুধু ওরাই যাদের সাথে আমার রেগুলার ফেসবুকে অথবা এস এম এস এ যোগাযোগ হচ্ছিল। ভাবুন আর বাকি গ্রুপদের অবস্থা।

< টাইগারদের প্রতি পূর্ণ আস্থা। তারা জিতবেই কোয়ার্টার ফাইনালে

প্লেনে ৩৭ হাজার ফুট উঁচুতে আমি। বাইরে তাকিয়ে আছি। পরিষ্কার দিনের আলোয় সাদা সাদা মেঘের ফাকে ফাকে সবুজ বন পাহাড় দেখছিলাম। সহসাই মনটা সিক্ত হয়ে আসলো। মনে পরে গেল ১০ হাজার মাইল দূরে ফেলে আসা আমার মায়ের জন্মভূমির কথা। আমার জন্মভূমির কথা। সে দেশের তরুণ ছেলেরা জয় করতে এসেছে বিশ্বকে। যদি কোয়ার্টার ফাইনালের এই মর্যাদার লড়াই ওরা হেরে যায়। ভাবতেই পারছিলাম না হেরে যাওয়ার এ দৃশ্য। চোখের কোনে পানি এসে গেছে অজান্তেই। প্লেনে বসে কয়েকটা লাইনও লিখেছিলাম এই অভিব্যক্তি ধরে রাখার জন্য। প্লেন থেকে নেমে ফেসবুকে পোস্ট করবো। করা হয় নি।

প্লেন থেকে নেমে আমরা যে যার মত টয়লেটে গিয়ে জার্সি এবং মাথার ব্যান্ড পরে নিলাম। টয়লেট থেকে বেড়িয়ে সামনে পড়লো একদল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। অনেককেই চিনি । আমাদেরকে সাজ দেখে টেস্ট বোলার পিটার সিডল “গো ব্যাঙ্গা গো” বলে চিৎকার করে উঠল। ওরা যাচ্ছিল কোথাও খেলতে। এরা সবাই বিগ ব্যাশ লিগের প্লেয়ার।

এম সি জি তে গিয়ে, দেখে শুনে এবং গুনে অবাক! হাজারে হাজারে গেছে সিডনী থেকে, সেই পরিমাণ না হলেও প্রচুর এসেছে অন্যান্য শহর থেকেও। মেলবোর্ন শহরের বাঙ্গালিরা তো আছেই। সাবাস, বাঘের বাচ্চারা! তোমরাই পেরেছো দল মত ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের সব বাঙ্গালিদের একত্রিত করতে। তোমাদেরকে বিজয়ী স্যালুট। বিশাল এম সি জি লাল সবুজ পতাকা আর নীল সাদা পতাকায় ছেয়ে গেছে। মেলবোর্নে ইন্ডিয়ানদের আধিক্য। তাই তাদের পতাকার সংখ্যাও অনেক। আমাদের সামনে এবং পেছনের সারীতে ওরাই বেশি বসে আছে। আমাদের ডান এবং বাম পাশের সেকশন অবশ্য বাংলাদেশিরা মাতিয়ে রেখেছে।

মাঠে বসেই লিখলাম -

তাসকিন, রুবেল, মাশরাফি
এদিক সেদিক দেখিস কি
ফিল্ড সাজানো আছে ঠিক
রেডি কিপার মুশফিক
ক্যাচ বা স্ট্যাম্প তুলে দে
বাপের নাম ভুলিয়ে দে
করবি বল এমন জোরে
খোলীর খুলি যাকনা উড়ে ।

টসে জিতলাম না। মনটা ছ্যাঁত করে উঠলো। এর আগের একটা ঘটনাও মাথা গুলিয়ে দিয়েছে। এগুলো কি হেরে যাওয়ার ইঙ্গিত। আগের ঘটনাটা না বলে পারছি না, তিন নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকবো আমরা। বন্ধু বেগের হাতে সব টিকেট এবং পিজার প্যাকেট। কোথা থেকে এক দমকা হাওয়া এসে উড়ে নিয়ে গেলো সব টিকেট। পিজার প্যাকেট গুলোও মাটিতে। মাথায় হাত। এত বড় কার পার্কের কোথায় খুঁজবো টিকেটগুলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর পেলাম। যাক বাবা, জানে এবার পানি আসলো। কিন্তু একটা ধাক্কা খেলাম, এটা কিসের আলামত!

এ খেলার সব ঘটনা এখন মোটামুটি সবার জানা। বিশ্বখ্যাত সব ক্রিকেটারদের মন্তব্যে গোপন আর কিছুই নেই। যেখানে ইন্ডিয়া ২৮ ওভারে মাত্র ১১৫ রানে ছিল এর পরে ধাওয়ান আর রোহিতের উইকেট থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করা হলো যা শুধু পূর্ব পরিকল্পিত ব্লু পৃন্টের সাথেই মিলে যায়। বাংলাদেশ হারে নি, হারানো হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস।

টাইগার রা তোমরা হারোনি আসলে
প্রত্যেকটি খেলায় জিতেছো বারে বারে
জয় করেছো লক্ষ কোটি বাঙ্গালির মন
মনে রাখবো তোমাদের সারাটা জীবন।






Share on Facebook               Home Page             Published on: 28-Mar-2015

Coming Events:



A day full of activities, games and fun.







Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far





Lakemba Blacktown Mascot
Minto Money raised so far



Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far







Blacktown Lakemba Mascot
Minto Money raised so far