আজাদ আলমের তিনটি প্রেমের কবিতা
শেষ বিকেলের মেয়ে
তুমিই তো সেই শেষ বিকেলের মেয়ে বৃষ্টি রোদে হেলান দিয়ে সাতটি রঙ্গে মন রাঙিয়ে হাওয়া মাতাল জল তরঙ্গে হাত দোলালে নাচের ঢঙ্গে ঝিলিক চোখে মিটমিটিয়ে হাসছিলে
তুমিই তো সেই শেষ বিকেলের মেয়ে কাঁকর আঁচর ঢেউয়ের তালে আলতা রাঙ্গা পা দোলালে দুই কপোলে জল ছিটালে হিমেল হাওয়ায় মন ভেজালে গানের সুরে প্রাণ পাখিরে ডাক দিলে
তুমিই তো সেই শেষ বিকেলের মেয়ে সিঁদুর মেখে সন্ধ্যা আসে তারার মেলায় চন্দ্র হাসে সুজন সখীর দেখার আশে প্রেম সাগরের ভেলায় বসে ভাদর ভরা নিটোল জলে ভাসছিলে.
তুমিই তো সেই শেষ বিকেলের মেয়ে প্রতীক্ষার সব বাঁধা ঠেলে ভালবাসার প্রহর এলে তৃপ্তি মাখা ঢেউ তুলে সুখ সাগরে ডুব দিলে ছেঁরা দ্বীপের বিমূর্ত এক রাতের কোলে
সারাদিন কেটে গেল এলোমেলো দিনের শুরুটা ছিল হেমন্তময় বড় বেশি ভালো ভোরের পেঁজা তুলো মেঘে ছিল রঙ জমকালো। রঙ্গিন প্রজাপতি নেচে নেচে হাওয়ায় হারালো কে যেন মনের মথুরায় প্রেমের বীণা বাজালো
তোমার শুভ দৃষ্টি পেতে ব্যাকুল প্রফুল্ল এ মন শিমুল পলাশের বনে দাঁড়িয়ে ছিল যে কতক্ষণ উতলা উদাসে উদগ্রীব হলো উথালী যৌবন ছটফটে মন খুঁজে মরে অনাদৃত বিলম্বের কারণ
বেলা বাড়ে চাষি হাল ছাড়ে তেঁতে উঠে রোদ্দুর মাঠ বন বন্দর ছেড়ে পাড়ি দেই সপ্ত সমুদ্দুর তোমাকে পেতে অচেনা পথে যাব সেই ততদুর চাতকি কুমারী চোখ আলো বিছরায় যতদুর
বিকেলের রোঁদ মেখে নিশ্চিন্তে সন্ধ্যা ঘনায় ক্লান্ত পাখীরা ঘরে ফিরে মিলনের স্নিগ্ধ বাসনায় আমার স্বপ্ন ঘুমালো অপেক্ষার অলীক মোহনায় আমার সারাদিন কেটে গেল এলোমেলো ভাবনায়
আজকে না হয় ভালবাসি
আজকে না হয় উড়াও চুল, বেঁধো বেণী কালকে না হয় খুশির বানে ভাসাও দু’কুল, কালকে কেঁদো মন যদি চায় আজকে না হয় চোখ তুলে চাও, নাই তাকালে কাল প্রভাতে আজকে না হয় মন খুলে গাও, থাকতে আবেগ পরানটাতে আজকে না হয় হাওয়ায় ভাস, উঠলো উঠুক কালকে ঝড় আজকে প্রেমের দাওয়ায় বস নাই জুটলো কাল বাসর ঘর। আজকে তোমায় সোহাগ করি, ভাবব পরে কাল কি হবে এই শুভক্ষণ জাপটে ধরি, এ ভাব কি আর ফিরে পাবে? আজকে তোমায় চাইগো চাই, ভবিষ্যতের নাই ভরসা কি লাভ বলো দিন গুনে রাই, মরছে যদি মনের আশা প্রেমের গোলাপ আজকে ফুটুক ,নাইবা ফুটুক কাল সকালে আজকে জীবন মধুর কাটুক, যাইবা থাকুক কাল কপালে
|