bangla-sydney.com News and views of Bangladeshi community in Australia |
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোশ্যাল সিকিউরিটি চুক্তি ড. আনিছুল আফছার এর সাক্ষাতকার আতিকুর রহমানঃ অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোশ্যাল সিকিউরিটি চুক্তি সাপোর্ট গ্রুপের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন ড. আনিছুল আফছার। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-কালীন সময়ে প্রত্যক্ষ ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। দেড় যুগের বেশী সিডনীতে বাস করলেও রাজনীতির পরিবর্তে সামাজিক কর্মের দিকেই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। সিডনীর বাংলাদেশীদের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের প্রতিষ্ঠা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন অত্যন্ত সফলতার সাথে। যোগ্য নেতৃত্বে স্বল্প সময়ে ক্যাম্ববেলটাউন এলাকায় একটি মসজিদ সহ মাল্টিপারপাস ইসলামিক সেন্টারের জন্য ৫ একর জমি ক্রয় করেছেন। ড. আনিছুল আফছার অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোশ্যাল সিকিউরিটি চুক্তি সমর্পকে আমাদের সাথে খোলাখুলি আলাপ করেছেন। প্রশ্ন: চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে কমিউনিটি কিভাবে উপকৃত হবে? ড. আফছার: এ চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি অনেক উপকৃত হবে। বিশেষ করে যারা অবসর-কালীন সময়ে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে গিয়ে কিছুটা সময় বা অনেকটা সময় আত্মীয় স্বজনের সাথে কাটাতে চান তারা অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন। অস্ট্রেলিয়াতে থাকলে যে পরিমাণ পেনশন ভাতা পাবেন ঠিক সেই পরিমাণ অর্থ যদি তারা স্বদেশে বসে পান তাহলে সেটা হবে একটা বিশেষ পাওয়া। পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ সরকারও উপকৃত হবে বিদেশী অর্থ বাংলাদেশে প্রেরণ করা এবং খরচের ফলে। প্রশ্ন: চুক্তিটি বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের কোন ভূমিকা রয়েছে কিনা? ড. আফছার: চুক্তিটি বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারকে। বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়া সরকারকে অনুরোধ করতে হবে এবং এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্যে প্রয়োজনীয় সিস্টেম বাংলাদেশে আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। অত:পর অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে বিল পাশ করতে হবে। প্রশ্ন: চুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে কত সময় নিবে বলে ধারনা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি কি কি হতে পারে? ড. আফছার: চুক্তি বাস্তবায়ন করতে কত সময় লাগবে এটা এই মূহুর্তে বলা খুবই কঠিন। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, গ্রীক কমিউনিটিকে প্রায় বিশ বছর এ চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করতে হয়েছে। ভারতের সাথে এ চুক্তি বাস্তবায়ন প্রায় দ্বারপ্রান্তে। সাপোর্ট গ্রুপ আপ্রাণ চেষ্টা করবে এই চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যে। আমরা অতি সত্ত্বর বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করবো এবং উভয় সরকারকে কমিউনিটির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরবো। আমরা ইতিমধ্যে ম্যাকার্থার এর ফেডারেল সংসদ সদস্য মি. রাসেল ম্যাথিউসন এর সাথে সাক্ষাত করেছি এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অনুরোধ করেছি। মি. রাসেল ম্যাথিউসন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বিল উপস্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ফেডারেল ইমিগ্রেশন মন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সাপোর্ট গ্রুপকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশ্ন: ভবিষ্যতে এ চুক্তি বাস্তবায়নে কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন? ড. আফছার: এ চুক্তি বাস্তবায়নে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। যেমন: ১. বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া উভয় সরকারের আগ্রহের অভাব ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অভাব। ২. বাংলাদেশে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা বা সুবিধার অভাব এবং এ ব্যাপারে উন্নয়নে আগ্রহ না থাকলে। ৩. অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনের প্রত্যক্ষ ভূমিকার আগ্রহের অভাব হলে। ৪. অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচিত ফেডারেল সাংসদরা যদি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপন এবং সাংসদ কর্তৃক পাশ করার আগ্রহের অভাব। ৫. আমাদের সার্পোট গ্রুপের সময় ও নেতৃত্বের অভাব। প্রশ্ন: কমিউনিটিকে কিভাবে সম্পৃক্ত করতে চান? ড. আফছার: কমিউনিটিকে সচেতন এবং সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা অতি সত্ত্বর কমিউনিটি সভার আয়োজন করবো। এই সভায় কমিউনিটির অত্যন্ত উদ্যোগী এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাপোর্ট গ্রুপের একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি করবো। আমরা কমিউনিটির সকলকে উদ্বুদ্ধ করবো যার যার অবস্থান থেকে আমাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। প্রশ্ন: চুক্তি বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি ? ড. আফছার: সার্পোট গ্রুপের শক্তিশালী পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের পর আমরা ভবিষ্যৎ কর্মসূচী তৈরি করব। স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা যেমন, কমিউনিটি মিটিং, ফেডারেল এম.পি ও ইমিগ্রেশন মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় হাই কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ সহ বিভিন্ন কর্মসূচী নিতে পারি। ইতিমধ্যেই আমরা কিছু কিছু কর্মসূচী পালন করেছি। প্রশ্ন: সার্পোট গ্রুপ কিভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্টেটে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করবেন? ড. আফছার: অবশ্যই বিভিন্ন ষ্টেট বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটিকে এ প্রক্রিয়ার সাথে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানাব। এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে আমরা অস্ট্রেলিয়ার যে প্রান্তেই বসবাস করি না কেন সকলেই এ সুবিধা ভোগ করব। সকল ষ্টেটের প্রতিনিধি আমাদের এ সাপোর্ট গ্রুপে সংযুক্ত করব আশা করি। প্রশ্ন: কমিউনিটির প্রতি আপনার বক্তব্য কি? ড. আফছার: অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোশ্যাল সিকিউরিটি চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য সার্পোট গ্রুপ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আশা করি কমিউনিটির সকলেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য না করলেই নয়, যে কোন ভাল উদ্যোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়া যায় না বললেই চলে, কিন্তু উদ্যোগটি যখন কিছুটা সাফল্যের দিকে যেতে থাকে তখন আর স্থান পাওয়া যায় না বললেই চলে। ফলে কমিউনিটির অনেক ভাল উদ্যোগ/প্রজেক্ট পূর্ণ সফলতা লাভ করে না। তাই সকলকে বিশেষ করে সকল মিডিয়াকে আহ্বান জানাব প্রাথমিক পর্যায়ে সার্পোট গ্রুপকে সহযোগিতা করে এটি বৃহৎ ও মহৎ উদ্যোগকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবেন। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ গুণীজন রয়েছেন যারা এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। আমি তাদেরকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের সাথে সাপোর্ট গ্রুপে আসার জন্যে। সবশেষে সবাইকে সার্পোট গ্রুপ পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আমাদের এ চুক্তি বাস্তবায়নে অতীব প্রয়োজনীয়। আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন আমাদের সার্পোট গ্রুপে। ই-মেইল বা ফোন করতে পারেন anisul.afsar@gmail.com, ০৪০২ ৩৯৮ ৪১৯। Share on Facebook               Home Page             Published on: 4-Jan-2014 |
A day full of activities, games and fun. | |
Lakemba Blacktown Mascot Minto Money raised so far | |
Lakemba Blacktown Mascot Minto Money raised so far | Blacktown Lakemba Mascot Minto Money raised so far |
Blacktown Lakemba Mascot Minto Money raised so far |