বৈশাখী মেলা ও বাসর রাতের গল্প আশীষ বাবলু
আজকের গল্পটা আমি যে মেয়েটির কাছে শুনেছি সে থাকে রকডেলে। সে আমাকে বলেছিল দাদা আমার জীবনের গল্পটা লিখুন। আমি বলেছিলাম হঠাৎ করে তোমার ব্যক্তিগত জীবন জনগণকে জানানো কি ঠিক হবে? সে বলেছিল এই গল্প পড়ে হয়তো কারো উপকার হবে। একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলেছিল, বুঝলেন দাদা ঐ একটা বয়সে যখন পাখি চিনতাম, গাছ চিনতাম, ফুল চিনতাম, চিনতাম প্রজাপতি কিন্তু মানুষ চিনতাম না!
ওর প্রেমের গল্পটার মধ্যে একটা হিতোপদেশ অর্থাৎ এ্যাডুকেশনাল ব্যাপার আছে। আর আছে সিডনির বৈশাখী মেলা। চারিদিকে বৈশাখী বাতাস যখন বইছে তখন পাঠকদের ওর গল্পটা বলা যেতেই পারে। গল্পে তিনটি চরিত্র। মূল চরিত্রে রয়েছে মেয়েটি, যার নাম আমি দিয়েছি নূপুর। আর দুইজন পুরুষ চরিত্র, একজন নীল আর অন্যজন শুভ। এ-দুটো নামও আমারই দেয়া। এটা যে ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী সেটা বলার অপেক্ষা রাখেন। আমি প্রথম নূপুর আর নীলকে দিয়ে শুরু করছি।
নূপুরের সাথে নীলের পরিচয় হয়েছিল ফেইসবুকে। টুকটাক কমেন্ট দিয়ে শুরু তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাত-জেগে চ্যাট। খুব সুন্দর লিখতো নীল,- টলমলে নৌকায় তোমার সাথে পাড়ি দেবো জোছনার দিকে! পরিচয়টা শুধু ফেইসবুকে থেমে থাকেনি, সিডনির ছেলে নীল ঢাকায় গিয়ে দেখা করেছে নূপুরের সাথে। একবার নয় তিন তিন বার। কখনও পাশাপাশি রিকশায় কখনো হাত ধরে দুজনে ঘুরে বেড়িয়েছে পুরানা পল্টন থেকে বারিধারা। রমনা পার্কের দূর্বায় হাটতে হাটতে নীল নূপুরের কানে কানে বলেছে,- ‘তোমাকে দেখে যত ভাল-লাগে তত ভাল গোলাপও লাগেনা ’। মোটকথা ঢাকা পৌরসভার কলের পানির মত ছর ছর করে ওদের প্রেম ঝড়ে পরেছে সমস্ত শহরে।
তারপর একদিন হঠাৎ করে ম্যাজিকের মত নীল অদৃশ্য হয়ে গেল। ফেইসবুক বন্ধ। টেলিফোন ডিসকানেকটেড। এখন কথা হচ্ছে বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌঁছাইতাম! নূপুর চোখে মুখে শর্ষে ফুল দেখতে লাগলো। মানুষের নিজে দেখা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে অতটা খারাপ লাগেনা তবে যখন অন্য কেউ স্বপ্ন দেখিয়ে ভেঙ্গে দেয় তখন বুকে বড় ব্যথা লাগে। নূপুর বিরহ দহনে জ্বলতে লাগলো।
আমাদের দেশে ইউনিভার্সিটি শেষ হতে না হতেই মেয়েদের বিয়ে দেবার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। নূপুরের ক্ষেত্রেও তাই হল। কিন্তু নূপুর না না অজুহাতে সব বিবাহ ইচ্ছুক ছেলেদের না না বলতে লাগলো। নীল তখন ওর শয়নে স্বপনে। দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি....। একদিন ওর এক আত্মীয় একটি ছেলের সম্মন্ধ নিয়ে এলেন। ছেলেটি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সিডনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। নূপুর একটা আশার আলোর ঝলকানি দেখতে পেল। ভাবল সিডনি পৌছতে পারলে নীলকে খুঁজে পাওয়া যাবে। সে বিয়েতে রাজী হয়ে গেল! এই ছেলেটি হল শুভ।
পাঠক এবার আমরা নূপুর আর শুভ র গল্প শুনবো।
শুভ কথা বলে কম। তবে ওর উজ্জ্বল চোখ দুটি মনে হয় সব সময় কিছু বলছে। ঐ চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা নূপুর কখনো করেনি বা করার প্রয়োজন মনে করেনি। ওর কাছে শুভ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া যাবার ভিসা!
সত্যিকার অর্থে বাসর রাতেই শুভ প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল নববধূ নূপুরের সাথে। বাসর রাত বলতে যে দৃশ্যটা আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটা হচ্ছে টুকটুকে লাল শাড়ি পরে মাথায় ঘুমটা দিয়ে বৌ বসে আছে ফুল দিয়ে সাজানো খাটে। কিন্তু শুভ যখন বাসর ঘরে ঢুকেছিল সে দেখেছে নূপুর বিয়ের সাজ গয়নাপত্র সব খুলে খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বসে ফেইসবুক করছে। শুভ আশ্চর্য হয়ে ছিল কিন্তু মুখে কিছু বলেনি। বলেছিল, ভালই করেছেন সারাদিন যে ধকল গেছে। নূপুর ভাবছিল কোন ভণিতা না করে বলেই দেবে যে দেখুন আপনাকে আমি বিয়ে করেছি অস্ট্রেলিয়া যাবো বলে। কথাটা মুখে এসে গিয়েছিল। হঠাৎ কি মনে হল বললো, আমি এই খাটে শোব না।
কেন? মুখ-তুলে বললো শুভ। ও হাতের ঘড়িটা খুলে ড্রেসিং টেবিলে রাখছিল।
কারণটা সহজ। আপনাকে আমি চিনিনা, ভাল করে কথাও হয়নি। একটা অপরিচিত লোকের সাথে এক বিছানায় শুতে মনে সায় দিচ্ছে না।
সত্যি কথা বলতে কি আমার ও তাই মনে হচ্ছে। আমাদের দেশে যে কি অদ্ভুত নিয়ম। চেনা নেই জানা নেই......।
নিয়মটা পালটালেই পারেন? নূপুরের গলায় বিদ্রূপ।
পাল্টানো কি এতই সহজ। শুভর গলায় হতাশা।
আপনাদের মত মায়ের আচলের তলে মুখ গুজে দুধ ভাত-খাওয়া ছেলে যতদিন এ দেশে থাকবে ততদিন এ নিয়ম পাল্টানো যাবেনা।
দুধ ভাত খাওয়া ছেলেরা কি দোষ করলো?
ভেবে দেখুন এত বয়স হয়েছে আপনার অথচ একটা মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করতে পারেন নি!
চেষ্টা যে করিনি তা নয়। তবে পছন্দ মত মেয়ে পাইনি।
আমি আপনার পছন্দের মধ্যে পরলাম? বড় ভুল করেছেন।
ভুল আমি সাধারণত করি না।
তবে এবার করেছেন। আমি মোটেই পছন্দের মেয়ে নই। কিছু দিনের মধ্যেই টের পাবেন।
সেটা সময় হলে দেখা যাবে। শুভ খুব সহজ ভাবে জবাব দিল।
খুব একটা বেশি সময় পাবেন না। সময়কে বিশ্বাস করতে নেই। সময় বড় বিশ্বাস ঘাতক। নূপুরের মুখে বাঁকা হাসি।
সে রাতে শুভ শুয়েছিল সোফায় আর নূপুর খাটে। নূপুরের ঘুম আসছিল না। মিহি একটা নাক ডাকার শব্দ পেয়ে নূপুর বুঝেছিল শুভ ঘুমাচ্ছে। কি বেকুব লোকরে বাবা! বাসর রাতে সোফায় শুয়ে এভাবে ঘুমানো যায়! এর কিছুক্ষণ পর নূপুরও ঘুমিয়ে পড়েছিল।
বিয়ের চারদিন পরেই শুভর সিডনি চলে আসা। সুটকেস গুছচ্ছিল শুভ। নূপুর খাটের এককোণে বসে আছে হাতে ফোন। শুভ শার্ট ভাজ করতে করতে জিজ্ঞেস করলো, এ কয়দিনে আমাকে কি কিছুটা চিনেছেন? নূপুর ফোন থেকে চোখ সরিয়ে শুভর দিকে তাকিয়ে বললো, মানে?
আপনি বলছিলেন অচেনা একটা মানুষের সাথে .....।
ও আচ্ছা। আপনি কি আমাকে চিনেছেন ? নূপুরের পাল্টা প্রশ্ন।
হ্যাঁ। আপনি পরোটা ভাজি পছন্দ করেন। চা ঠাণ্ডা করে খান। চানাচুর খাবার সময় বাদাম গুলো খুঁটে খুঁটে খান।
গত চার দিন আপনি আমার খাওয়াদাওয়া মানে ফুড-হ্যাবিট লক্ষ করেছেন! আপনি কোন টাইপের ছেলে এখন বুঝতে পেরেছি। ছেলে করবে লেখাপড়া, মেয়ে করবে রান্নাবাড়া।
না না শুধু খাওয়া দাওয়া নয়। মোবাইল আপনার সবচাইতে প্রিয় বস্তু। হলুদ রং পছন্দ করেন। সুন্দর গুছিয়ে শাড়ি পরেন। চুল এধার থেকে ওধার নেয়া আপনার অভ্যাস। নিজেকে সুন্দরী মনে করেন।
আপনি কি বলতে চাইছেন আমি দেখতে খারাপ?
না না না সে কথা বলছিনা। আপনার চোখ দেখলে মনে হয়, এ মেয়ে ছলনা শেখেনি। যখন শাড়ি পরেন আপনাকে চিত্র নায়িকাদের মত লাগে। তবে গলা উঁচিয়ে যখন কথা বলেন তখন আপনাকে খালাম্মা খালাম্মা মনে হয়।
হাসি চেপে নূপুর বললো, ভালইতো এখন থেকে আমাকে খালাম্মা বলেই ডাকুন।
বাসার লোক জনের সামনে এটা কি ঠিক হবে! এবার বলুন আপনি আমার কি দেখেছেন? শুভ চোখ তুলে প্রশ্ন করে।
নূপুর শুভর দিকে তাকিয়ে বলে, আপনাকে দেখলে মনে হয় আপনি ভাজা মাছটিও কাঁটা বেছে খেতে পারেন না, ভেজা বেড়াল। অথচ তলে তলে একটা বিচ্ছু। বোকার মত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। গুন গুন করে গান করেন। বেসুরা। কানে অসহ্য লাগে।
আর কিছু?
আপনার ছফুট লম্বা শরীরে আরও দুই তিন কিলো মাংসের প্রয়োজন। একটা জিনস পরে যারা দিনের পর দিন কাটায় তাদের নোংরা বলে। ভাগ্যিস আপনার সাথে আমার এক বিছানায় শুতে হচ্ছেনা।
এসব কোন সমস্যার মধ্যেই পড়েনা। আমি একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এবার থেকে লন্ড্রি ফেরত জামা কাপড় পরবো আর বেশি করে খাবো। তবেই আমাকে আপনি ভালবাসতে শুরু করবেন!
ভালবাসা! নূপুর ভ্রু তুলে তাকায়। বলে, আগে ভাল লাগুক তারপরতো ভালবাসা।
ভালোলাগা আর ভালবাসায় তফাৎ কি? শুভ প্রশ্ন করে।
মেয়েদের যখন গাছের একটা ফুল ভাল লাগে সে তখন সেটা তুলে খোপায় পরে। আর ফুলটাকে যখন ভালবাসে তখন তাকে যত্ন করে পানি দেয়।
জানিনা আপনি আমার মাথায় কবে পানি ঢালবেন! আচ্ছা, আমিতো সিডনি চলে যাচ্ছি। আপনি কী আমাকে চিঠি লিখবেন? শুভ প্রশ্ন করে।
কী বললেন চিঠি? এমন কথা ভাবলেন কী করে? আপনার তো আবার ফেইসবুক এ্যাকাউন্টও নেই। একটা খুলে নিন তবেই আমার সম্মন্ধে জানতে পারবেন।
শুভ ফেইসবুক এ্যাকাউন্ট খুলেছিল। ওর এ্যাকাউন্টে বন্ধু ছিল একজন। নূপুর। অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেতে খুব একটা সময় লাগেনি। ছয় মাসের মাথায় নূপুর পৌঁছে গিয়েছিল সিডনিতে শুভর দুই বেডরুম রকডেলের ফ্লাটে। এখানে আরও স্বাধীনতা। দেশে শুভর মা-বাবা ভাই-বোনদের মাঝে ওরা ঘুমাতো একই ঘরে আলাদা। এখানে-তো দুইজন দুই ঘরে। স্বাধীনতা কারে কয়!
সংসারের কাজকর্ম করতে নূপুর ভালবাসে। রাঁধতে ভালবাসে। শুভ ওকে সাহায্য করে। দুজনে মিলে শপিং এ যায়। শুভর লাল টয়োটায় চড়ে ওরা উইক্এন্ডে বেড়াতে যায়, গাড়ির সিডিতে গান বাজে- মিলন হবে কতদিনে আমার মনের মানুষের সনে.... । এ এক অদ্ভুত দম্পতী দম্পতী খেলা।
এতকিছুর মধ্যেও নূপুরের অস্থির চোখে বেদনার মেঘ জমে আছে। বুকের মধ্যে নীল। নীল তুমি কোথায়? একমাস হয়ে গেছে তোমার শহরে আমাকে দেখা দাও। নূপুরের রাতে ঘুম হয়না। বালিশ ভিজে যায় মন কেমনের জলে।
তারপর এলো সিডনির বৈশাখী মেলা। সেখানে নীলের সাথে আচমকা মুখোমুখি! নূপুর এসেছিল শুভর সাথেই। কিন্তু ঔ মুহূর্তে নূপুরের সাথে শুভ ছিলনা।
একি তুমি?
আশ্চর্য হয়েছে নীল। তার চাইতে বেশি আশ্চর্য হয়েছে নূপুর। এ ধরনের দৃশ্যে সিনেমায় আমরা দেখি নায়ক নায়িকা ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে। তবে এখানে দুজনেই হতবাক। কারো মুখে কোন কথা নেই। কথা বললো ছয় বছরের ছোট্ট একটি ছেলে। নীলকে জড়িয়ে ধরে বললো, আব্বু আইসক্রিম খাবো। একথা শেষ হতেনা হতেই অতিমাত্রায় সজ্জিত একজন মহিলা যার মুখ মেকআপে ঢেকে আছে ছেলেটির হাতে একটা আইসক্রিম তুলে দিল এবং নীলকে বলল জামীর আব্বা তুমি আইসক্রিম খাবা?
জামীর আব্বা মানে নীলের তখন পা জমিতে নেই। নূপুরের চোখের সামনে ঘটনাটা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল যে ওর তাকিয়ে থাকা ছাড়া আরে কিছুই করার রইল না। নিজেকে এত ভিড়ের মধ্যেও মনে হল একা দাড়িয়ে আছে। নূপুর কোন কথা না বলে হাঁটতে লাগলো।
নীল শুধু তাকে মিথ্যে আর মিথ্যে বলে এসেছে। ও যখন নূপুরকে ভালবাসার গল্প শুনিয়েছে ও তখন ছিল এক সন্তানের পিতা! হোয়াট এ বাস্টার্ড! আর এই লোকটার জন্য নূপুর কয়েক হাজার মাইল ছুটে এসেছে এখানে। নূপুরের এখন চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে। কাঁদতে ইচ্ছে করছে। একটা খুন করতে ইচ্ছে করছে। জীবনটা মনে হচ্ছে একটা দুঃস্বপ্ন।
হঠাৎ কোথা থেকে শুভ এসে দাঁড়াল নূপুরের পাশে। কী মুখ ভার করে দাড়িয়ে আছেন?
নূপুর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, ভেবেছিলাম এই ভীরে আমাকে খুঁজে পাবেন না।
না না আপনাকে খুঁজে পাওয়া সহজ। এই মেলায় আপনার মত সাদা শাড়ি পরে কেউ এসেছে বলে আমার মনে হয়না। চলুন ঐ দিকটায় যাই।
না আমার আর ঐদিকে যেতে ইচ্ছা করছেনা। আমি বাসায় যাব। আপনার হাতে ওটা কি? শুভর হাতে একটা প্যাকেট ছিল।
আপনার জন্য একটা শাড়ি কিনেছি।
আমার জন্য?
হ্যাঁ, মেলায় এলে কিছু কিনতে হয়।
মেলা থেকে বেড়িয়ে গেছে ওরা। ওদের গাড়ি এখন সিডনির রাস্তায়। কারো মুখে কোন কথা নেই। আকাশে দু একটা তার হঠাৎ হঠাৎ করে জ্বলে উঠে সন্ধ্যার জানান দিচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সব সঙ্গীত যাবে ইঙ্গিতে থামিয়া। নূপুর শুভকে গাড়ি থামাতে বলে। একটু আসি বলে নূপুর গাড়ি থেকে নেমে হাটতে থাকে। কোথায় যাচ্ছে নূপুর? চিন্তার কথা।
মিনিট পাঁচেক পর নূপুর ফিরে আসে। হাতে একগুচ্ছ ফুল। শুভ গাড়ি চালাতে চালাতে বলে আমি আপনার জন্য শাড়ি কিনেছি বলে আমাকে ফুল কিনে দেবার কোন দরকার ছিলনা।
নূপুর বলে এটা আপনার জন্য কিনিনি।
তবে কার জন্য? শুভ ওর দিকে তাকায়।
আমাদের জন্য। নূপুর চোখ নামায়।
মানে?
মানে খুব সহজ। আজকের রাত হবে আমাদের বাসর রাত।
শুভর চোখে মুখে আনন্দ। গুন গুন করে ওঠে, এসেছো প্রেম এসেছো আজ কী মহা সমারোহে.....!
আশীষ বাবলু, সিডনি, ashisbablu13@yahoo.com.au
|