আমি কতটা জ্ঞানী! এম এস আরেফীন
রঞ্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর। এই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক, মাস্টার্স শেষ করে পদার্থ বিজ্ঞানে আমেরিকার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় Stanford University থেকে PhD সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে senior lecturer হিসেবে যোগ দেয়। পরে অতি দ্রুতই সে নিজের মেধার বলে পদোন্নতি পেয়ে আজ সে পুরোদস্তুর প্রফেসর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সে দেশের দু’টো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বিদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের conjoint lecturer. পদার্থ বিজ্ঞান শাখায় তার কাজ ও গবেষণা দেশ বিদেশে বহুল সমাদৃত। তার উদ্ভাবিত Ray's momentum আজ দেশ বিদেশের অনেক স্কুল কলেজের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। ছোটবেলা থেকেই রঞ্জন খুব জ্ঞানপিপাসু ও কর্মঠ। ইচ্ছা ছিলো আর্কিটেক্ট হবে। কিন্তু ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্টের পরে মা মারা গেলে রঞ্জনের পৃথিবী উলটে পালটে যায়। আর সেই ধাক্কা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে ফেলে। তারপরেও তার মেধার জোরে সে সবসময়ই ভাল রেজাল্ট করে এসেছে। এই জীবনে সে যা কিছু অর্জন করেছে তার সবকিছুই তার জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমের ফসল।
বাংলাদেশে অনেকেই হিন্দি ভাষা বুঝতে ও বলতে পারে। রঞ্জন সেটাকে এক ডিগ্রি উপরে নিয়ে গেল। নিজের চেষ্টায় হিন্দি লিখতে পড়তে শিখে গেল। আর এর পাশাপাশি নিজের চেষ্টায় সে জার্মান ভাষা রপ্ত করে ফেলেছে। বইপড়া তার শখ। সুযোগ পেলেই যা হাতের কাছে পায় তাই পড়ে ফেলে। তাই অনেক বিষয়েই তার অগাধ জ্ঞান। তা হোক সে ধর্ম, ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি, বিজ্ঞান এমনকি খেলাধুলা। স্বভাবতই সে নিজেকে অনেক ক্ষেত্রেই জ্ঞানী বলে দাবী করে। তবে, কখনোই সেই জ্ঞান জাহির করা অথবা সেটা নিয়ে সে কখনোই বড়াই করেনা। শুধু তাই নয়, নিজের জ্ঞানের কারণে কোন ব্যক্তি, বর্গ বা সম্প্রদায়কে সে হেয় বা ছোটও করেনা। তবে ইদানীংকালে সমাজের কিছু জ্ঞানী গুণী মানুষের দম্ভ, অহংকার এবং বিশেষ করে অন্যদেরকে ছোট বা হেয় প্রতিপন্ন করার বিষয়টি নিয়ে সে সত্যিই খুব চিন্তিত। একটা সমাজের শিক্ষিত সম্প্রদায় শুধুমাত্র অল্প দস্তুর বিদ্যা ও শিক্ষার কারণে যখন নিজেদেরকে অন্যদের থেকে উঁচু ও আলাদা ভাবা শুরু করে তখন তাদের জ্ঞান কখনোই সমাজকে আলোকিত করতে পারবেনা। এবং এটা একটা দেশ ও জাতির জন্য ভয়ংকর। রঞ্জন নিজে নিজে মাঝে মাঝেই ভাবে জ্ঞান পরিমাপ করার কোন যন্ত্র থাকলে খুব ভাল হতো।
আজ শুক্রবার ছুটির দিন। এই দিনটা সবার কাছে খুবই প্রিয়। আর রঞ্জনের কাছেও আরো বেশী প্রিয় কারণ, আজ সারাদিন কয়েকটা খবরের কাগজ পড়ে সে শেষ করবে। সকালে উঠে নাস্তা সেরেই খবরের কাগজ নিয়ে বসলো রঞ্জন। গোটা দশেক খবর পড়ার পর একটা বিজ্ঞাপনে এসে চোখ আটকে গেল রঞ্জনের।
“নিজের জ্ঞান পরিমাপ করুন, নিজেকে চিনুন”
নীচে ফোন নম্বর ঠিকানা সবই দেওয়া। আরো মজার বিষয় হচ্ছে - সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জ্ঞান পরিমাপ করা হয়। বিজ্ঞাপনটি পড়ার পর স্থির থাকতে পারলোনা রঞ্জন। হাতের কাছের মুঠোফোনে নম্বর চাপতেই ওপাশে একটা ভারী কণ্ঠ।
- হ্যালো, আরণ্যক বলছি। - জ্বী, হ্যালো আমি রঞ্জন...... - জ্ঞান মাপাতে চাইছেন? - জ্বী, তবে বিষয়টি বেশ ইন্টারেস্টিং - হ্যাঁ, তা বটে। তবে পুরো গবেষণা শেষ হলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। - ও আচ্ছা, তাহলে কোন প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে গবেষণা করছে। - জ্বী তা ঠিক নয় আমি স্বেচ্ছায় এই কর্ম যজ্ঞ চালাচ্ছি, বলতে পারেন। - আচ্ছা তাহলে কবে আসতে পারি - চলে আসুন, এখনি, যদি ফ্রি থাকেন - ও তাহলে কোন এপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই - নাহ। - আমি তো ভাবলাম একমাস আগে কোন এপয়েন্টমেন্টই পাবোনা - নাহ, সেই অবস্থায় নেই। আসলে আমার মনে হয় জ্ঞানী মানুষেরা নিজেদের জ্ঞান পরিমাপ করতে ভয় পায়। কারণ, আসল সত্য জানার পর জ্ঞান জাহির করা বা বড়াই করার কোন উৎসাহ তাদের আর হয়তো থাকবেনা। - তাহলে আপনি বলছেন আপনার ফরমুলা পারফেক্ট? - পারফেক্ট কিনা জানিনা। তবে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিই আমার সাথে সহমত - তাহলে তো আসতেই হয় - হ্যাঁ চলে আসুন - ও, আচ্ছা সাথে কোন কিছু আনতে হবে? সার্টিফিকেট সনদ মার্ক-শিট? - সার্টিফিকেট সনদ বা মার্ক-শিট লাগবেনা, তবে নিজের মগজটা সাথে করে আনলেই হবে। - হা, হা, হা। জ্বী আসছি। দেখা হচ্ছে শীঘ্রই।
চল্লিশ মিনিটের মধ্যে রঞ্জন সেই ঠিকানায় পৌঁছে গেল। পুরনো ঢাকায় ঘিঞ্জি গলি, খানা খন্দ পেরিয়ে সেই বাসাটা মিললো। কলিং বেলে চাপ দিতেই পাঞ্জাবি আর পায়জামা পড়া টাক মাথার এক ভদ্রলোক দরজা খুললেন।
- রঞ্জন সাহেব? - জ্বী - জ্বী আমিই আরণ্যক। ফোনে আমার সাথেই কথা বলেছেন। আসুন।
পুরনো ধাঁচের বাড়ি। ঘরের সিলিংগুলো ব্রিটিশ আমলের, মোটা মোটা কাঠ আর কংক্রিট দিয়ে তৈরি। দুটা ঘর পেরিয়ে একটা স্টাডি রুমে বসানো হলো রঞ্জনকে। এই ঘরের চারিদিকে বই আর বই। ঘরের একটা ইঞ্চিও নেই যেখানে বই নেই। এমনকি রঞ্জন যেখানে বসেছে সেই চেয়ারেও পাইল করে বই রাখা ছিলো, সেগুলো সরিয়ে তাকে বসতে দেওয়া হয়।
- তারপর বলুন কেমন আছেন রঞ্জন সাহেব? - জ্বী ভাল - আচ্ছা একটা প্রশ্ন করতে পারি? - জ্বী - অবশ্য আপনি চাইলে উত্তর নাও দিতে পারেন - সমস্যা নেই নিঃসংকোচে প্রশ্ন করতে পারেন - আপনি কেন নিজের জ্ঞান পরিমাপ করতে চান? - জ্বী আমি জ্ঞান পিপাসু, নিজেকে জ্ঞানী বলেই জানি। তাই দেখতে চাই আসলেও কতটা জ্ঞানী আমি। - আচ্ছা, তাহলে শুরু করি। আপনি প্রস্তুত তো। - জ্বী। আমি প্রস্তুত। - বিষয়টা খুব সহজ। একেবারে সরল গণিতের মত। তবে তার আগে আপনি এই কাগজটা পড়ে দেখুন।
আরণ্যক, রঞ্জনের দিকে একটা কাগজ এগিয়ে দিলেন। কাগজে লেখাঃ
জ্ঞান পরিমাপের পরীক্ষায় স্বাগতম।
১. মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য বা আবেগ যেমন হাসি, কান্না, সুখের বহিঃপ্রকাশ বা দুঃখের বহিঃপ্রকাশ এই সংক্রান্ত জ্ঞান এই পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ এই সহজাত বৈশিষ্ট্য নিয়েই জন্মায়। আলাদা করে কাউকে এই জ্ঞান অর্জন করতে হয়না।
২. আবার বিভিন্ন আবেগ অনুভূতি যেমন ভালোবাসা, মায়া, ঘৃণা এবং মানুষের রিপু যেমন হিংসা, ঈর্ষা, লোভ এই বিষয়গুলোও এই পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ কোন মানুষকেই আলাদা করে এই জ্ঞান অর্জন করতে হয়না। পরিবারের শিক্ষা বা নিজের স্বভাব-গুণে মানুষ এইসব গুণাবলীর বা রিপুর প্রকাশ ঘটায়।
৩. উপরের এই দুটি বিষয় বাদ দিলে একজন মানুষের জ্ঞানকে চারটি মুল ধারায় ভাগ করা যায়। আর সেই চারটি ধারা হচ্ছে:
ক) ভাষা জ্ঞান খ) প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান বা শিক্ষা গ) ধর্মীয় জ্ঞান ঘ) সংস্কৃতি বা কৃষ্টি জ্ঞান
এই পরীক্ষায় সর্বমোট নম্বর হচ্ছে ৪০০। অর্থাৎ উপরের চারটি বিষয়ের প্রতিটির জন্য ১০০ নম্বর ধার্য করা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় যে, কোন বিষয়েই কোন ব্যক্তি বা মানুষ ১০০ ভাগ জ্ঞানের অধিকারী হতে পারেনা। তথাপি হিসাবের সুবিধার্থে, জটিলতা এড়াতে এবং একজন ব্যক্তিকে তার জ্ঞানের পরিমাণের বিষয়ে একটি সাধারণ ধারনা দিতে এই পরীক্ষাটাকে সহজ ভাবে গঠন করা হয়েছে। কোন বিষয়ে কার জ্ঞান কত গভীর এই চুলচেরা বিচার এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য নয়।
যেমনঃ আপনি যদি বাংলা ব্যতীত অন্য যে কোন ভাষা বুঝতে পারেন ও কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে ধরে নেওয়া হবে দ্বিতীয় ভাষায় আপনার জ্ঞান শতভাগ বিদ্যমান। আবার আপনি যদি একটি সাবজেক্ট বা ডিসিপ্লিনের পাশাপাশি আরো একটি সাবজেক্টে অনার্স করে থাকেন তাহলে ধরে নেওয়া হবে দ্বিতীয় সাবজেক্টে আপনার জ্ঞান শতভাগ বিদ্যমান।
এবার আসুন হিসাবে। হিসাবটা খুবই সহজ। একটি ছোট্ট উদাহরণ দেই। ভাষা জ্ঞানে নম্বরের পরিমাণ ১০০। এই পুরো পৃথিবীতে যত ভাষা আছে। আপনি যদি অর্ধেক ভাষায় কথা বলতে পারেন ও বুঝতে পারেন তাহলে আপনার প্রাপ্ত নম্বর হবে ৫০। আবার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ধারায় মোট নম্বর ১০০। এই দুনিয়ায় মোট সাবজেক্ট বা ডিসিপ্লিনের ১০০ ভাগের এক ভাগ সাবজেক্টে যদি আপনি অনার্স করে থাকেন আপনার প্রাপ্ত নম্বর হবে ১। কোন বিষয়ে আপনি পি.এইচ.ডি সম্পন্ন করলেও আপনি তার জন্য বেশী নম্বর পাবেন না। আগেই বলা হয়েছে চুলচেরা জ্ঞান পরিমাপ এই পরীক্ষার আওতাধীন নয়। এখানে লক্ষণীয়, এই সব ডিসিপ্লিনের মধ্যে, খেলাধুলা, শিল্প, সাংস্কৃতিক বিষয় যেমন নাচ, গান, বাদ্য-বাজনা এসবকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এভাবে চারটি ধারা অর্থাৎ ৪০০ তে আপনার প্রাপ্ত নম্বরকে ৪ দিয়ে ভাগ দিয়ে আপনার জ্ঞানের শতকরা পরিমাণ বের করা হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য - এই পৃথিবীর সব ভাষার, সাবজেক্ট, ধর্ম, কৃষ্টি বা সংস্কৃতির উপরের যার জ্ঞান আছে তিনি ১০০% জ্ঞানী। এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করেই এই পরীক্ষা করা হয়।
রঞ্জন পুরো কাগজটা পড়ে শেষ করলো।
- ইন্টারেস্টিং, বিষয়টা বেশ লজিক্যাল। - তাই বলছেন? - হ্যাঁ তাই তো মনে হচ্ছে। তবে এর আগে আমি এভাবে ভেবে দেখিনি। - তা, পরীক্ষা দিচ্ছেন নাকি মত পাল্টেছেন? - এসেছি যখন, জ্ঞান পরিমাপ না করে যাচ্ছিনা। - আচ্ছা তাহলে এবার এই ফর্মটি পূরণ করুন
রঞ্জন সময় নিয়ে ভেবে চিনতে ফর্মটি পূরণ করে আরণ্যকের দিকে এগিয়ে দিলেন। ফর্মটিতে লেখাঃ
১. পৃথিবীতে মোট ভাষার সংখ্যা ৬৫০০। আপনি মোট কতগুলো ভাষায় কথা বলতে পারেন ও বুঝতে পারেন, অথবা লিখতে পড়তে পারেন?
উত্তরঃ ৪
২. পৃথিবীতে মোট সাবজেক্ট বা ডিসিপ্লিন ১৩৫৪ টি। মোট কয়টি সাবজেক্ট বা ডিসিপ্লিনে আপনি সর্বোচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন?
উত্তরঃ ১
৩. পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা ৪৩০০। মোট কয়টি ধর্ম সম্পর্কে আপনি পূর্ণ জ্ঞান রাখেন?
উত্তরঃ ২
৪. পৃথিবীতে কৃষ্টির সংখ্যা মোট ৩৮১৪। মোট কয়টি সংস্কৃতিতে আপনি পূর্ণ জ্ঞান রাখেন?
উত্তরঃ ২
আরণ্যক হিসাব করে দেখলেন, ৪০০ তে রঞ্জনের প্রাপ্ত নম্বরঃ
ভাষা জ্ঞান - ০.০৬১৫
প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান - ০.০৭৩৮
ধর্মীয় জ্ঞান - ০.০৪৬৫
কৃষ্টি জ্ঞান - ০.০৫২৪
৪০০ তে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর = ০.২৩৪২
অর্থাৎ জ্ঞানের শতকরা পরিমাণ ০.০৫৮৫৫%।
- রঞ্জন সাহেব এই নিন। এই পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞানের ০.০৫℅ আপনি ধারণ করেন। অর্থাৎ আপনি ০.০৫% জ্ঞানী।
হিসাবটা হাতে পেয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে রঞ্জন বের হয়ে এলো।
শুক্রবারের ঢাকা বেশ ফাঁকা ফাঁকা। এই দিনে গাড়ি ঘোড়ার তেমন জ্যাম থাকেনা। কিন্তু রঞ্জনের মাথায় এখন বিরাট জ্যাম। রঞ্জন ভাবছে, একটা বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী, চারটি ভাষায় জ্ঞান, দুটি ধর্ম ও দুটি সংস্কৃতিতে জ্ঞান নিয়ে, যেই মানুষটার উদ্ভাবিত থিওরি পাঠ্যক্রমের অংশ, এত জ্ঞান অর্জন করেও সে মাত্র ০.০৫℅ জ্ঞানী। আরণ্যকের ফরমুলাতে যুক্তি আছে। তারপরেও ধরে নেই তার হিসেবের থেকেও দ্বিগুণ জ্ঞান যদি আমি ধারণ করি তাও তো তার পরিমাণ ০.১℅ এর বেশী হয়না।
রঞ্জন গাড়ির জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকালো। কত অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে ওখানে! ঠিক এমনি ভাবেই, পৃথিবীর নীচে, মহাসমুদ্রের গভীরে, পাহাড়ের আনাচে কানাচে, ঘন বনে জঙ্গলে এই দুনিয়া জুড়েই আছে কত শত রহস্য যার জ্ঞান আজও মানুষ রপ্ত করতে পারেনি!
 এম এস আরেফীন, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
|