বিশ্বের ক্ষুদ্রতম নদী!
নীলনদ | আনিসুর রহমান: পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম নাইল বা নীলনদ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র নদী কোনটা? এ বিষয়টি কখনো ভেবে দেখা হয়নি। মাটির উপরে এক বালতি পানি ঢেলে দিলে সেটা তো গড়িয়ে গড়িয়ে নিচের দিকে যাবে কিন্তু সেটাকে কি আমরা নদী বলবো! অবশ্যই না।
আমরা ছোটবেলায় পড়েছি নদী পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে এঁকে বেঁকে সাগরে গিয়ে পড়ে। তবে সব নদী কিন্তু সাগরে পড়ে না। কিছু কিছু নদী আছে যার পানি সাগরে পৌঁছানোর আগেই শুকিয়ে যায় বা মাটি এর সব পানি চুষে নেয় যেমন ভারতের লুনি নদী। ইথিওপিয়ার অমো নদী ৭৬০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে কেনিয়ার টারকানা লেকে এসে শেষ হয়ে গেছে, কোন সাগরে পড়েনি। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম নদী নির্ণয়ের জন্য তাই আমাদের নদীর সংজ্ঞা সম্পর্কে একটু সচেতন হতে হবে।
নদী হতে হলে তার প্রথম শর্ত হলো এটি একটি প্রবাহমান জলরাশি হতে হবে। বদ্ধ লেকের পানিকে নদী বলা যাবে না। দ্বিতীয় শর্ত, জলের এই প্রবাহটি অবশ্যই প্রাকৃতিক হতে হবে। সিডনি ওয়াটার এর পাইপ ফেটে যদি রাস্তা ভেসেও যায় তবুও সেটা নদী নয়। তৃতীয় শর্ত, এই প্রবাহিত প্রাকৃতিক জলরাশি লবণাক্ত হলে চলবে না।
এই তিনটি শর্ত পূরণ করে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম নদীর টাইটেল পেয়েছে ইন্দোনেশিয়ার টাম্বোরাসি নদী। পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে উৎপত্তি হয়ে এই নদী এঁকে বেঁকে গালফ অফ বনি তে পড়েছে। নদীর সব সংজ্ঞা পূরণ করেছে টাম্বোরাসি অতএব ছোট বলে একে হেলা করা যাবে না। টাম্বোরাসি সত্যিই একটি নদী, পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম নদী। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২০ মিটার!
ইন্দোনেশিয়ার টাম্বোরাসি নদী
টাম্বোরাসি - উৎস থেকে মোহনা!
|