২২ গুন বেশি অপরাধী!
আনিসুর রহমান: ক্লিন এনার্জি কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার হিসাব অনুযায়ী সিডনিতে বাড়ির ছাদে লাগানো সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম পড়ে প্রতি ইউনিট ৫ সেন্ট এর মতো। অথচ পাওয়ার লাইন থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ২৯ সেন্ট। দাম কম - এটাই সৌর বিদ্যুতের একমাত্র ভালো দিক নয়। অস্ট্রেলিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান জ্বালানি কয়লা। কয়লা পোড়ালে প্রচুর পরিমাণে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হয়। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ছিল মাথাপিছু বছরে প্রায় ১৪ টন, সে তুলনায় বাংলাদেশ উৎপাদন করে মাত্র ০.৬৩ টন। পরিবেশ দূষণ যদি অপরাধ হয় তাহলে অস্ট্রেলিয়ানরা বাংলাদেশীদের তুলনায় ২২ গুন বেশি অপরাধী। বেশি মাত্রায় সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ছাপানো সোলার প্যানেল হাতে CSIRO বিজ্ঞানী ডঃ স্কট ওয়াটকিনস | এই অপরাধের বোঝাটা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
১৯২১ সালে মহা-বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন সৌর বিদ্যুৎ আবিষ্কারের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন।
তার প্রায় ১০০ বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞান এবং শিল্প গবেষণা সংস্থা CSIRO সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংযোজন করেছে আরেকটি নতুন অধ্যায় - প্রিন্টেবল সোলার প্যানেল। এ ধরনের সোলার প্যানেল ঘরে ব্যবহৃত ইঙ্ক-জেট প্রিন্টার দিয়ে ছাপিয়ে নেয়া যাবে। তবে এর জন্য বিশেষ ধরনের সোলার ইঙ্ক ব্যবহার করতে হবে।
এ ধরনের সোলার প্যানেল খুব সহজেই কারখানায় উৎপাদনের সময় বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর উপরে ছাপিয়ে দেয়া সম্ভব, ফলে একদিন হয়তো আমরা বাড়ির দেয়ালে, ছাদের টাইলে, ঘরের জানালায়, পর্দায় বা ব্লাইন্ডে, গাড়ির ছাদে কিংবা বিচ আম্বরেলায় ছাপানো সোলার প্যানেল দেখতে পাবো।
বর্তমানে ব্যবহৃত সোলার প্যানেল এর তুলনায় ছাপানো সোলার প্যানেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা একটু কম কিন্তু এর উৎপাদন খরচও কম। ফলে এ ধরণের সোলার প্যানেল বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
|