সিডনিতে রাষ্ট্রদূত এর সাথে মত বিনিময় সভা প্রসঙ্গে! আনিসুর রহমান
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর শেষে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন গত বুধবার সন্ধ্যায় লাকেম্বার ইউনাইটিং চার্চ হলে সিডনির স্থানীয় কিছু আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গের সাথে একটি মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটির সভাপতি ডা. রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ খবর পেয়েছেন দূতাবাস থেকে প্রেরিত এসএমএস এর মাধ্যমে আবার কেউ কেউ আমন্ত্রণ পেয়েছেন স্থানীয় দু'এক জন ব্যক্তির কাছ থেকে। অনেকেই খবর পাননি। কে বা কারা এই মত বিনিময় সভার আয়োজক সেটাও মোটেই পরিষ্কার ছিল না। দূতাবাস থেকে টেলিফোনে এটিকে দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠান বলে জানানো হলেও এব্যাপারে গণমাধ্যমে কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে অনুষ্ঠানে যেতে পারেন নি।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানান দুদেশের বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ ১.৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বিমান যোগে পণ্য পরিবহণ সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এ সংকট এখন কিছুটা শিথিল হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত পণ্য এখন দুবাই, ব্যাংকক, হংকং ও সিঙ্গাপুর সহ ১০ টি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রি স্ক্যানিং হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো যাচ্ছে। তিনি দূতাবাসের টেলিফোন ও এন্সারিং সার্ভিস, কন্সুলার সার্ভিস, জনশক্তি রফতানি, দেশে প্রবাসীদের লাশ প্রেরণ, বিমানের সিডনি ফ্লাইট, প্রবাসীদের অন্য জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বাংলাদেশীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ার্কিং ভিসা সহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রশ্নের উত্তর দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন অজয় দাসগুপ্ত, ড. আব্দুল ওয়াহাব, গামা আব্দুল কাদির, শেখ শামিমুল হক ও সিরাজুল হক। ডা. রফিকুল ইসলামের সমাপনী ভাষণ এবং নৈশ ভোজের মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী শিকদার।
পুনশ্চঃ
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতকে মাননীয় এমনকি মহামান্য বলেও সম্বোধন করা হচ্ছিল। এটি ভুল। মহামান্য কথাটি কেবল মাত্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য ব্যাবহার যোগ্য সম্মান সূচক শব্দটি হলো মাননীয়। রাষ্ট্রদূতদের জন্য নির্ধারিত শব্দটি হলো মান্যবর। এটি His Excellency এর বাংলা প্রতিশব্দ। এই শব্দগুলি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত।
আনিসুর রহমান, সম্পাদক, bangla-sydney.com
|