দেশের মানুষের হাতে "বিশ্বায়নে শহীদ মিনার"
আনিসুর রহমান
২০০৬ সালে সিডনির এ্যাশফিল্ড পার্কে একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মৃতি-সৌধ স্থাপনের অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত নির্মল পাল এর "বিশ্বায়নে শহীদ মিনার" বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। উল্লেখ্য ২০০৬ সালে নির্মল পাল একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়া সভাপতি ছিলেন এবং স্মৃতি-সৌধটি স্থাপনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৪ সালে ঢাকার একুশে বই মেলায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন লেখিকা সেলিনা হোসেন।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার সম্মান প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকার রাজপথে যে চেতনার জন্ম হয়েছিলো ১৯৯৯ সালে সেই চেতনাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে UNESCO. ২১শে ফেব্রুয়ারি কে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাঙালি জাতির জন্য এই বিরল আন্তর্জাতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দণ্ডায়মান এ্যাশফিল্ড পার্কের এই স্মৃতি-সৌধ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো এর প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ তাজউদ্দীন ঢাকা থেকে জানিয়েছেন, ডাইরেক্টর অব পাবলিক লাইব্রেরি তাদের জেলায় জেলায় অবস্থিত লাইব্রেরিগুলির জন্য নির্মল পাল রচিত "বিশ্বায়নে শহীদ মিনার" বইটি সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি আরো জানান বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ গড়ার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রও বইটি তাদের সংগ্রহে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বইটি দেশের অগণিত মানুষের হাতে পৌঁছুবে। দেশের মানুষ প্রবাসে একুশে একাডেমীর নিরলস কর্মীদের দেশ-প্রেম দেখে মুগ্ধ হবে, অনুপ্রাণিত হবে।
আনিসুর রহমান, সম্পাদক, bangla-sydney.com
|