bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












এই লিংক থেকে SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ সপ্তাহ (৪র্থ পর্ব)
সরদার আমীর আজম

আগের অংশ পরের অংশ



ব্যাক টু নিউইয়র্ক - ভ্রমনের শেষ ধাপ

এবার ফেরার পালা এবং তার প্রস্তুতি নেয়া। 21 জুলাই সাউথ-ওয়েষ্ট এয়ারলাইন্সের ছোট্ট একটি প্লেনে চেপে হান্টিংটন থেকে নর্থ ক্যারোলিনার সার্লোট এয়ারপোর্ট এবং ওখান থেকে ইউনাইটেডে চেপে নিউইয়র্কের জে এফ কে এয়ারপোর্ট। স্বভাবতই হান্টিইংটন এয়ারপোর্টে সে এক আবেগ-ঘন পরিবেশ। হান্টিংটন থেকে অবশ্য ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছিল, যে কারনে সার্লোটে যখন পৌঁছলাম তখন নিউইয়র্কের কানেক্টিং ফ্লাইট ছাড়তে মাত্র আধা ঘণ্টা বাকী এবং বোর্ডিং গেটও অনেক দূরে, তাই অন-টাইম বোর্ডিং হলে হেটে গিয়ে ধরা যাবে কিনা শঙ্কার মধ্যে পড়লাম। দেখলাম বেশকিছু মোবাইল ট্রলি গাড়ী মালামালসহ প্যাসেঞ্জারদের বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। কাছেই একটি দেখে চালককে বললাম আমরা ফ্লাইট মিস করতে পারি এবং আমাদের নির্ধারিত গেটে নিয়ে যেতে অনুরোধ করলাম। আমাদের বোর্ডিং পাস চেক করে অনেক ভিড়ের মধ্যেও মোটামুটি দ্রুতগতিতে নির্ধারিত গেটে নিয়ে গেল। হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। পে করতে হবে কিনা জিজ্ঞেস করায় বলল এটা ফ্রি সার্ভিস (টিপস দিতে চাইলেও নিলনা দেখে অবাকই হলাম বৈকি)। খুবই খুশি হলাম টার্মিনালের মধ্যে জরুরী ক্ষেত্রে এরকম সার্ভিস থাকার জন্য। বিশেষ করে, পূর্ববর্তী ফ্লাইট ডিলে হওয়ার জন্য যাদের কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করার উপক্রম হয়, কিংবা যারা বয়স্ক অথবা দৈহিকভাবে প্রতিবন্ধী তাদের জন্য টার্মিনালের অভ্যন্তরে এই ধরনের সার্ভিস খুবই সহায়ক। সব বড় বড় এয়ারপোর্টে ও টার্মিনালে এই ধরনের সার্ভিস দৃশ্যমান। যাইহোক, তখনো বোর্ডিং শুরু হয়নি, সুতরাং এ ফ্লাইটটিও দেরিতে ছাড়বে। শেষ পর্যন্ত, নিউইয়র্ক পৌঁছেছিলাম রাত ১০টার স্থলে ১১টায়। তবে সচরাচর ফ্লাইট ডিলে হওয়াও দেখা গেছে। আমেরিকার মত দেশে যেখানে শত শত এয়ারপোর্ট এবং প্রত্যেকদিন হাজার হাজার ফ্লাইট চলাচল করছে, সেখানে ফ্লাইট ডিলে হওয়া কিংবা লাগেজ হারিয়ে বিড়ম্বনা বিচিত্র নয়।

প্রথম দিকে সময়য়ের স্বল্পতার কারণে শুধুমাত্র স্টাচিউ অফ লিবার্টি ও এলিস আইল্যান্ড দেখা হয়েছিল। তাই ম্যানহাটন দেখাটা শেষ ধাপে রেখেছিলাম। আর নিউইয়র্ক ঘুরতে এসে তার প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটন না দেখা বলতে গেলে নিউইয়র্ক না দেখার মতই। আবারো সময়ের স্বল্পতার জালে আটকা পড়লাম। হাতে সময় আছে মাত্র ৩ দিন (২২ থেকে ২৪ জুলাই)। ঘটনাচক্রে, যে ভায়রার মেয়ে (একমাত্র সন্তান) নিউইয়র্ক প্রবাসী, একমাত্র সন্তানের সুবাদে তারা দু’জন আমেরিকায় ইমিগ্রেশন নিয়ে আসছে ২৪ জুলাই, সুতরাং, ঐদিন তাদেরকে সময় দিতে হবে। সুতরাং ম্যানহাটন দেখার জন্য হাতে সময় ২২ ও ২৩ তারিখের যেকোনো একদিন। আগের দিন মাঝরাতে নিউইয়র্ক পৌছায়, স্বভাবতই ২২ তারিখ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল। তাই ২৩ তারিখ ম্যানহাটন দেখব। তবে ২২ তারিখে ফিলিপ আমাদের নিয়ে গেল নিউইয়র্কের উত্তরের পার্শ্ববর্তী রাজ্য কানেকটিকাট (১০০ কিঃমিঃ), যেখানে ওদের কন্যা হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত। বিখ্যাত ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধীনে এই হাসপাতাল, সেই সুবাদে ইহার ক্যাম্পাসটিও দেখা হল। সেখান থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসলাম। আমেরিকার আরেকটি রাজ্য দেখা হল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ওয়েষ্ট ভার্জিনিয়াতে ১৮ থেকে ২০ তারিখ ঐ কয়দিন বেশি থাকতে হল বলে এযাত্রা আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন আর দেখা সম্ভব হলনা!


নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটনঃ

সিডনীর সিটি সেন্টার যেরকম, তেমনি নিউইয়র্কের ম্যানহাটন – এর প্রাণকেন্দ্র। তবে আয়তনে সিডনী সিটি সেনটারের চেয়ে কয়েকগুণ বড় হবে। পৃথিবীর অন্যতম সেরা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এবারেও বাস ও সাবওয়ে ধরে যাওয়া। প্রথমে গেলাম ২০০১ সালের ৯/১১-এ টেরোরিষ্ট আক্রমণে ধ্বংস হওয়া টুইন টাওয়ারের ওখানে। সেই স্থানে এখন একটি মেমোরিয়াল তৈরি করা হয়েছে - বর্গাকারের একটি পুকুরে চারিদিক থেকে পানি অবিরামভাবে পড়ছে। পুকুরের চারিদিকে কোমর সমান ও বেশ চওড়া ওয়াল যার উপর মৃতদের নাম লিখে রাখা হয়েছে। কিছু নাম পড়তে পড়তে একটি নাম লেখা দেখলাম ‘Patricia Ann Cimaroli Massari and her unborn child’! সেই নিষ্পাপ শিশুটির আর এই পৃথিবীর আলো দেখা হয়নি! টুইন টাওয়ারের স্মারক হিসেবে পাশেই তৈরি করা হয়েছে সম উচ্চতার One World Trade Center (৫৪১ মিটার, ১,৭৭৬ ফুট, ১০৫ তলা), যেটি ফ্রিডম টাওয়ার নামেও পরিচিত এবং এখন আমেরিকার সর্বোচ্চ বিল্ডিং। দেখলাম ঐ টাওয়ারে দর্শনার্থীদের যাওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেটিতে না গিয়ে আমরা গেলাম ঐতিহাসিক Empire State Building-এ, যেটি এখনো নিউইয়র্কের অন্যতম সুউচ্চ বিল্ডিং (১০৩ তলা, ৪৪৩ মিঃ, ১,৪৫৫ ফুট) হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ষাটের দশকের প্রথম দিক থেকে (তখন প্রাইমারী স্কুলে) শুনেছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং-এর কথা। পরবর্তীতে, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে আরো উচ্চতার বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। ২০০১ সালে ধ্বংস-কৃত টুইন টাওয়ার উচ্চতায় ইহাকে টপকে গিয়েছিল। এখন একই উচ্চতায় ফ্রিডম টাওয়ার হয়েছে। তবুও ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে Empire State Building এখনো একটি স্বপ্নের স্থাপনার মত। তাই ঐ বিল্ডিং-এর উপরে ওঠার বাসনাকে দমিয়ে রাখতে পারলামনা। দুইটি observatory – একটি ৮৬ তলায় এবং অন্যটি ১০২ তলায়। আমি ও মেয়ে ঈশান ৮৬ তলার অবজারভেটরিতে উঠেছিলাম এবং বেশ উত্তেজনা ও আনন্দের সাথে নিউইয়র্ক শহরের দৃশ্য অবলোকন করেছিলাম। সে যেন ছিল ‘a drean comes true’-র ন্যায় অবস্থা। এরপর গেলাম Times Square-এ। তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। লোকে লোকারণ্য, গান-বাজনার কানফাটানো শব্দের সাথে সাথে অজস্র বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডগুলির সে যে কি ঝলমলে দৃশ্য তা বর্ণনার ঊর্ধ্বে। আমরা শুধু অবাক নয়নে ও বিস্ময়ে দেখছিলাম। হাতে আর সময় নেই বলে ঘরে ফিরতে হল। যদিও ম্যানহাটনে আরো অনেক কিছু দেখার ছিল, যেমন, ব্রডওয়ে থিয়েটার, ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়াম, সেন্ট্রাল পার্ক, ইত্যাদি। সম্ভবতঃ পরবর্তী সময়ে! সবশেষে, এককথায় বলতে গেলে বলতে হয়, ম্যানহাটন ম্যানহাটনই, নিউইয়র্ক নিউইয়র্কই এবং আমেরিকা আমেরিকাই।

২৪ জুলাই অন্যতম ভায়রা এবং শ্যালিকা (স্ত্রীর ছোট বোন) বাংলাদেশ থেকে দুপুরের দিকে এসে পৌঁছেছিল। তদের জামাতা এসে আমাদের নিয়ে গেল ওদের বাসা ব্রংক্সে। এটাও অন্যতম বাঙালী অধ্যুষিত এলাকা। ম্যানহাটন থেকে কাছে, কিন্তু আরো গিঞ্জি মনে হল। এখানেও দেখা গেল রাস্তা-ঘাটে বাঙালীদের বেশ উপস্থিতি, মনে হল ঢাকার কোথাও। এছাড়া মাইগ্রান্ট ও কালোদেরও প্রাধান্য। শুনলাম, একারণে অপরাধের মাত্রা বেশি, তাই রাতের বেলা রাস্তায় একাকী চলা ততটা নিরাপদ নয়। নিউইয়র্কে যেসব এলাকাগুলিতে বাঙালীদের ঘনবসতি সেগুলি হল – জ্যাকসন হাইটস, কুইন্স, জ্যামাইকা, ব্রংক্স ও ব্রুকলিন। স্ত্রী জেসমিন আমেরিকাতে আরেক বোনের সাথে মিলতে পেরে আরো উৎফুল্ল। বেশ ভাল সময় কাটল। সন্ধ্যায় আমরা সবাই মিলে খেতে গিয়েছিলাম আবার জ্যামাইকার সেই পানসি রেস্টুরেন্টে।


ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন (সিডনী)

২৫ জুলাই (সোমবার) সিডনী ফেরার পালা, নিউজার্সির নিউইয়র্ক এয়ারপোর্ট থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফ্লাইট। জামাতা বলল, সে এয়ারপোর্টে ড্রপ করবে। সবাইকে নিয়ে একটি ৮-সিটার গাড়ীতে আমাদের বন্ধু ফিলিপের বাসা থেকে তুলল। এয়ারপোর্ট বেশ দূরে বিধায় এবং নিউইয়র্কের বিকেলের ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে একটু আগে-ভাগে রওয়ানা করেছিলাম। যাইহোক, সময় বেশি লাগেনি। লাগেজ বুক করে বাড়তি সময়টা আমরা চা-কফি খেয়ে খোশ-গল্প করে কাটালাম। সাড়ে ৪টার দিকে সবাইকে বিদায় দিয়ে আমরা ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা চেক-ইন করে ভেতরে ঢুকলাম। কিন্তু বিধি বাম!


আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্বীকার – এক দুঃস্বপ্নের মত অবস্থা

মাঝে মাঝে খবরে শুনেছি সিডনী, নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিভিন্ন এয়ারপোর্টে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঝড়, বজ্রপাত, তুষারপাত, ইত্যাদি), কমিউনিকেশন/সিস্টেম ব্রেকডাউন, ইত্যাদি কারণে প্রচুর ফ্লাইট ডিলে ও ব্যাকলগের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রীর আটকা পড়া ও প্রচণ্ড দুর্ভোগ, যা ক্লিয়ার করতে কয়েকদিন পর্যন্ত লেগে যায়। এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যে এরকম একটি ঘটনার আমারাও স্বীকার হয়ে গেলাম যেন নিমেষের মধ্যে। গ্রীষ্মকাল বিধায় কম-বেশি সবজায়গায়ই গরমের স্বীকার হয়েছি (বিশেষ করে, অরল্যান্ডো, হিউষ্টন ও হান্টিংটনে)। কিন্তু ৫ সপ্তাহের মধ্যে গরম-জনিত নিম্নচাপের কারণে তেমন কোন বৃষ্টি বা ঝড়ের কবলে পড়তে হয়নি এপর্যন্ত, একমাত্র টেনেসির মেমফিসে কয়েক ঘন্টার বৃষ্টি ছাড়া)। নিউইয়র্কে প্রথম যখন পৌঁছলাম তখন গরম ছিল অনেকটা সহনীয়। কিন্তু ২১ জুলাই ফিরে এসে গরমটা মনে হয়েছিল বেশ অসহনীয়। আবহাওয়ার ফোরকাষ্ট বলছিল ২৫ তারিখে বৃষ্টি (যেটি শেষপর্যন্ত আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল)। যখন এয়ারপোর্টে যাচ্ছিলাম তখনো প্রচুর ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছিল। ভেতরে ঢুকে বোর্ডিং গেটে গিয়ে বসেছি। তখন বাজে প্রায় ৫টা। স্ক্রিনে আমাদের লস এঞ্জেলস ফ্লাইট অন-টাইম দেখাচ্ছে। আরো দেড় ঘণ্টা পড়ে। গেটে অন্য একটি ফ্লাইট টেক-অফ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এরপর আমাদের ফ্লাইটি এসে ল্যান্ড করবে। মূহুর্তের মধ্যে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়েছে এবং তার সাথে বজ্রপাত, আধাঘণ্টার মত চলল। কিছুক্ষণের পরে স্ক্রিনে দেখানো হল আমাদের ফ্লাইট ডিলে হয়ে সাড়ে ৭টায় এবং তারপর দেখানো হল সাড়ে ৮টায় (তখন বাজে প্রায় ৬টা)। এই পর্যায়ে আমদের মনে হল সাড়ে ৮টায় ফ্লাইট ছাড়লে লস এঞ্জেলস থেকে সিডনী ফ্লাইট ধরা যাবেনা কারণ কানেক্টিং টাইম মাত্র দেড় ঘণ্টার। গেটের ফ্লাইটটি তখন পর্যন্ত টেক-অফ না নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। পরিস্থিতি খুব গোলমেলে মনে হল – সবকিছু থমকে আছে যেন, মাত্র আধা ঘণ্টার বজ্রপাত-জনিত ঝড়ে প্রচুর ফ্লাইট ডিলে হয়ে একটা বিরাট ব্যাকলগের সৃষ্টি হয়েছে এবং শত শত যাত্রী আটকা পড়ে একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। কোন ফ্লাইট ছাড়ছেওনা আর নামছেওনা, আর ফ্লাইট না ছাড়তে না পারলে নামবেইবা কিভাবে। আমাদের গেটের প্লেনটি তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। এক আত্মীয়, কাতার এয়ারের পাইলট, সিডনীতে বেড়াবার সময় বলেছিল, বজ্রপাত এয়ারপোর্ট এবং এয়ারক্রাফটের জন্য খুবই বিপজ্জনক, যেহেতু কমিউনিকেশন সিস্টেম জ্যাম করে দিতে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রাখা হয়। মনে হল নির্ঘাত সেইরকম কোন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পর্যায়ে সাড়ে ৬টার দিকে ঘোষণা করা হল, যাদের কানেক্টিং ফ্লাইট ধরতে হবে তাদের কাস্টমার সার্ভিসে গিয়ে কানেক্টিং ফ্লাইট রি-বুকিং করার জন্য, কারণ সাধারনতঃ ২/৩ ঘণ্টার ব্যবধানে কানেক্টিং ফ্লাইট বুক করা হয়, যেহেতু তখন পর্যন্ত সব ফ্লাইট ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ডিলে দেখানো হচ্ছে, আর সেইমত ফ্লাইট ছাড়লেও কানেক্টিং ফ্লাইট ধরা সম্ভব নয়। কাউন্টারে জিজ্ঞেস করলে বারবারই একই কথা বলা হচ্ছিল – খারাপ আবহাওয়া এবং অনেক ইনকামিং ফ্লাইট কাছাকাছি কোন বিমানবন্দরের দিকে ডাইভার্ট করে দেয়া হয়েছে (কারণ, হয় ফ্লাইট ছাড়তে না পারার কারণে অনেক ইনকামিং ফ্লাইট ল্যান্ড করতে পারেনি এবং/অথবা বজ্রপাত-জনিত কারণে কোন ধরনের কমিউনিকেশন/সিস্টেম জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে)।



আগের অংশ পরের অংশ








Share on Facebook               Home Page             Published on: 1-Nov-2016

Coming Events:





A day full of activities, games and fun.







Blacktown Lakemba Mascot