bangla-sydney
bangla-sydney.com
News and views of Bangladeshi community in Australia












এই লিংক থেকে SolaimanLipi ডাউনলোড করে নিন



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ সপ্তাহ (২য় পর্ব)
সরদার আমীর আজম

আগের অংশ পরের অংশ



ডিজনীল্যান্ড - অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডা

২৮ জুন লা গার্ডিয়া এয়ারপোর্ট থেকে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের বিমানে করে আমরা পৌঁছলাম ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো দু’দিনের জন্য। হোটেল থেকে ডিজনীল্যান্ড যাওয়ার জন্য shuttle বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা ছিল একটি বাড়তি সুবিধা। বিশাল এলাকা জুড়ে চমকপ্রদ এবং সমস্ত ধরনের বিনোদনে ভরপুর মনমাতানো এই থিম পার্ক যেখানে এমন কোন বিনোদন নেই যা অনুপস্থিত। মূলতঃ ৪টি বিভাগে বিভক্তঃ Hollywood Studios, Magic Kingdom, Animal Kingdom এবং EPCOT (Experimental Prototype Community of Tomorrow) এবং প্রতিটি বিরাট বিরাট এলাকা জুড়ে পুরোপুরি আলাদা অবস্থানে অবস্থিত। দর্শনার্থীদের মধ্যে যাদের নিজস্ব যানবাহন নেই তাদের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগে যেতে হলে বাসে অথবা ট্যাক্সি করে ওদের কেন্দ্রীয় পার্কিং স্পটে যেতে হবে প্রথম এবং সেখান থেকে ওদের বাস অথবা monorail দিয়ে নিয়ে যাবে নির্ধারিত বিভাগে (অবশ্য যারা নিজস্ব যানবাহনে যাবে তারা প্রত্যেক বিভাগের জন্য নির্ধারিত কার পার্কে ঢুকতে পারে)। সময়ের স্বল্পতার কারণে (এক একটি বিভাগ সম্পূর্ণ ঘুরে দেখতে কমপক্ষে একদিন করে সময় দরকার আর সেক্ষেত্রেও খুব তাড়াহুড়ো করতে হবে) আমরা দু’দিনে Hollywood Studios ও Magic Kingdom দেখব ঠিক করেছিলাম। মোটামুটি সমস্যা ছিল, গরমকাল বিধায় অসহ্য গরমের স্বীকার হতে হয়েছিল, যেহেতু ফ্লোরিডা বিষুবীয় অঞ্চলের মধ্যে। তবুও ঐ সময়টি আমেরিকায় স্কুল হলিডে ছিল বিধায় বিশেষ করে বাচ্চাসহ পরিবারের ছিল উপচে পড়া ভিড়। তাই প্রত্যেকটি শো এবং ফান রাইডে বিরাট লম্বা লাইনের পেছনে পরতে হয়েছিল। তবে তাড়াতাড়ি দেখার জন্য শো ও রাইডগুলি ‘কুইক পাসের’ মাধ্যমে দেখারও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু সীমিত সংখ্যায় যা ফুরিয়ে গেলে বাকীসব শো ও রাইড কমপক্ষে ঘন্টাধিক লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়েছিল। এছাড়া, পুরোটা এলাকা জুড়ে ছিল বিভিন্ন ধরনের প্রচুর গিফট শপ ও খাবার-দাবার/পানীয়ের দোকান। সব মিলিয়ে সে ছিল এক তাক লাগানো অবস্থা। মোদ্দা-কথায়, Walt Disney (১৯৬৬ সালে প্রয়াত), তার ভাই এবং তাঁর গুণধর সহকর্মীরা এই সমস্ত বিনোদন শো ও ফান রাইডগুলি তৈরি করতে যে অত্যন্ত উচ্চতর গুণসম্পন্ন মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন এবং এগুলি স্বচক্ষে না দেখলে কাউকে বোঝানো অসম্ভব।

যাইহোক, প্রচণ্ড গরম ও অত্যধিক ভিড়ের মধ্যেও ২৯ জুন Hollywood Studios এবং ৩০ জুন Magic Kingdom-এ যতটা সম্ভব আমাদের পছন্দের শো ও রাইডগুলি দেখেছি ও উপভোগ করেছি অনাবিল আনন্দে ও মন মাতিয়ে। Hollywood Studios-এ বিশেষ করে বিভিন্ন নামকরা মুভিগুলির অংশ-বিশেষের উপর সেট তৈরি করে ও animation-এর মাধ্যমে অভিনয় দেখিয়ে যে মুভি রাইড-টি এবং Indiana Jones ছবিটির বাস্তবের শুটিং সেটটি ও তার অংশবিশেষ বাস্তবে শুটিং করে দেখানো দেখানো হয়েছিল তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর ছিল যা ভুলবার নয়। এরকম আরো অনেক ধরনের শো ও রাইড ছিল সত্যিই মনোমুগ্ধকর, যাদের অনেকগুলি সময়ের অভাবে দেখাও সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দিন Majic Kingdom-এ ভ্রমণ, যার প্রবেশপথে তৈরি করা castle-টি সত্যিই দর্শনীয় ও চোখ ধাঁধানো এবং এর সামনে অনুষ্ঠিত Walt Disney-র আবিষ্কৃত বিভিন্ন কল্পনার কার্টুন চরিত্রগুলি দিয়ে নেচে-গেয়ে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়েছিল যা ছিল ঐদিনের প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও খুবই উপভোগ্য। সে ছিল যেন এক স্বপ্নের জগতে ঢোকার শুরু মাত্র। ভেতরে বিভিন্ন শো ও রাইডগুলিও ছিল সত্যিই মন জুড়ানো, যেখানে মূলতঃ Walt Disney-র তৈরি করা বাচ্চাদের জন্য কার্টুন ছবিগুলির (যেমন, Micki Mouse, Little Mermaid, Peter Pan, Winnie the Pooh, ইত্যাদি) উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শো ও রাইড তৈরি করা হয়েছে। সে ছিল এক মোহনীয় ঝলমলে স্বপ্নিল magic world-এ নিয়ে যাওয়া, যা শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য নয় বড়দের জন্যও আকর্ষণীয় বৈকি। বিশেষ করে ছোট মেয়ে ঈশান খুব উপভোগ করেছিল এগুলিতে আর সাথে আমরাও বিস্ময়ের সাথে দেখে গেছি সৃষ্ট বিস্ময়গুলি। এছাড়া উল্লেখ করার মত, Haunted House নামের ভূত ও প্রেতাত্মাদের ভীতিকর ও লোমহর্ষক জগতটির কথা এবং নৌকায় চড়ে Pirate World-এর অন্ধকার ও ভয়ংকর জগতে ভ্রমণ, যা ভুলবার নয়। সময়য়ের স্বল্পতার কারণে Animal Kingdom এবং EPCOT আর দেখা হয়নি, যা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেয়া ছাড়া বিকল্প ছিলনা!


টেক্সাসের হিউষ্টন এবং নাসা

আমেরিকার সবচেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব কোনে অবস্থিত টেক্সাস রাজ্যের সবচেয়ে বড় সিটি হিউষ্টন যার জনসংখ্যা ২.৩ মিলিয়ন। ১ জুলাই হিউষ্টনে অনেকদিনের ব্যবধানে দেখা হল অন্যতম ভায়রা, শ্যালিকা (স্ত্রীর তৃতীয় বোন) ও তাদের ছোট মেয়ের সাথে যারা কয়েকবছর আগে আমেরিকায় মাইগ্রেট করেছে (ঢাকাতে USAID-তে চাকুরী করার সুবাদে মাইগ্রেশন পেয়েছিল)। তখন রমজানের শেষ দিক। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে ঈদ করার কথা। বাড়তি আনন্দ হিসেবে দুদিন পরে আমার ৪র্থ ছোট ভাই ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া থেকে স্ত্রী (আরেক শ্যালিকা অর্থাৎ স্ত্রীর পঞ্চম বোন) ও দুই ছেলেকে নিয়ে যোগদান করল। সে এক আনন্দঘন পুনর্মিলন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পরে ভাই ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা, আর বিশেষ আনন্দের ব্যাপার আমার স্ত্রীরা তিন বোন একত্রে মিলিত হল ও ঈদ করল দীর্ঘদিন পরে, আর তাও কিনা আমেরিকার মত বিদেশের মাটিতে। ৬ জুলাই ঈদের নামাজ আদায় করলাম হিউষ্টনের অন্যতম বড় মসজিদে যার তত্ত্বাবধানে আছে সেখানকার পাকিস্তানি সম্প্রদায়। জানা গেল পাকিস্তানি সম্প্রদায় ওখানে বেশ বড় ও সংগঠিত। বাংলাদেশিরা আছে কিন্তু সংখ্যায় তত বেশি নয়। এর আগে ৪ তারিখে আমরা নাসা (NASA – National Aeronautical and Space Administration) পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এখান থেকেই আমেরিকার মহাকাশযানগুলি উৎক্ষেপণ করা হয় এবং এ সংক্রান্ত অনেক টেকনিকাল তথ্যাদি, বস্তু, নভোচারীদের ব্যবহৃত সামগ্রী ও রকেট/সাটল-যানের রেপ্লিকা প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে এখানে। বিশেষ করে, অনেক মহাকাশযানের মধ্যে ১৯৬৯ সালে চাঁদে অবতরণকারী এপোলো যানটির রেপ্লিকাও প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। এছাড়া, হিউস্টনের যেটি আমাদের ভাল লেগেছে তাহলো এর বিস্তৃত মাল্টি-লেন রোড ও ফ্লাইওভার নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন রাষ্ট্র সংযোগকারী সর্বোচ্চ ৬x৬ লেন রাস্তা বিরাজমান যেগুলি দর্শনীয় ৫ থেকে ৬ স্তরের ফ্লাইওভার নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত। সর্বোচ্চ ৬ষ্ঠ স্তর ফ্লাইওভারে উঠলে মনে হবে ১০ তলা ভবনের উপর ওঠার মত এবং বেশ শিহরন অনুভূত হয়। শুনেছি, পশ্চিম উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস এঞ্জেলস শহর এবং অন্যান্য রাজ্যে ৮x8 লেন রাস্তাও আছে, যা এযাত্রায় আর দেখা হয়ে উঠেনি।


হান্টিংটন, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া

ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া আমেরিকার মধ্য-পূর্ব অঞ্চলে, পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি। এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ভাড়া করা গাড়ীতে (৮-সিটার ভ্যান) করে কান্ট্রি-সাইড দেখতে দেখতে যাব। প্রায় ১১০০ মাইল (১৭০০ কিঃমিঃ) পথ উত্তর-পূর্ব দিকে। তাই মাঝখানে টেনেসি রাজ্যের মেমফিস শহরে রাত্রিযাপন করতে হবে যেটি ঐতিহাসিক মিসিসিপি নদীর তীরে অবস্থিত। ৯ জুলাই আমরা টেক্সাসের সীমান্ত পেরিয়ে পুরো আরকানসাস রাজ্য অতিক্রম করে মিসিসিপি রাজ্যের অংশবিশেষ পেরিয়ে কান্ট্রি-সাইডের অনাবিল সুন্দর দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে সন্ধ্যার পরে মেমফিস পৌঁছে এক হোটেলে রাত্রিযাপন করলাম। উল্লেখ্য, আরকানসাস রাজ্যের মধ্যে ঢোকার পরপরই আমরা দেখতে পেলাম একটি সাইনবোর্ডে লেখা “সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের জন্মভূমি”। সকালে যাত্রা শুরুর আগে আমরা মিসিসিপি নদীর দৃশ্য দেখার উদ্দেশ্য নদীর তীরবর্তী একটি পার্কে গেলাম। সেখান থেকে মিসিসিপির নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকন করতে করতে দেখলাম বিশাল আকারের দীর্ঘ এক মালবাহী কার্গো জাহাজ ধীরগতিতে চলে গেল। প্রায় ২,২০০ মাইল (৩,৫০০ কিঃমিঃ) সুদীর্ঘ এই ঐতিহাসিক নদীটি আমেরিকার উত্তরের রাজ্য মিনেসোটায় উৎপত্তি হয়ে আড়াআড়িভাবে দক্ষিণ দিকে বয়ে এসে মিসিসিপি রাজ্যের মধ্য দিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে পড়েছে। মোটর-গাড়ী আবিষ্কার হওয়ার আগে রেলগাড়ি ছাড়া এই নদী ছিল আমেরিকার উত্তর থেকে দক্ষিণে যাতায়াতের জন্য অন্যতম প্রধান জলপথ মাধ্যম। পার্কে রক্ষিত তথ্য থেকে আরো জানা গেল, ক্রীতদাস প্রথার আমলে তৎকালীন সময়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ক্রীতদাস পরিবহনের দুঃখজনক ইতিহাসেরও অন্যতম নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই মিসিসিপি নদী। আরেকটি মজার ব্যাপার হল, পার্কে অবস্থিত গিফট শপটিতে গিয়ে দেখলাম প্রায় সবকিছুর উপর বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রিসলির ছবি। কাউন্টারের মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম মেমফিসের কাছেই গ্রেসল্যান্ডে এলভিসের জন্মস্থান। যাইহোক, এরপর সারাদিন টেনেসি রাজ্যের রাজধানী ন্যাসভিল ও অন্যান্য শহর এবং কেন্টাকি রাজ্যের লেক্সিংটনের মধ্য দিয়ে ড্রাইভ করে রাতে আমরা পৌঁছলাম ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার হান্টিংটন শহরে যেখানে মার্শাল ইউনিভার্সিটিতে ছোট ভাই শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। কেন্টাকির মধ্য দিয়ে আসতে আসতে সাইনবোর্ডে লেখা দেখলাম “সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের জন্মস্থান”। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রয়াত কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীরও জন্মস্থান কেন্টাকি রাজ্যের লুইভিল শহরে, যদিও ঐ শহরের মধ্য দিয়ে আমাদের যাওয়া হয়নি।

যদিও অন্যতম কয়লা সমৃদ্ধ রাজ্য, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া আমেরিকার দ্বিতীয় দরিদ্রতম রাজ্য। হান্টিংটন শহরের অবয়ব ও অবকাঠামো দেখে এই রাজ্যের দারিদ্রের ছাপ অনেকটা স্পষ্ট। মনে হল, মার্শাল ইউনিভার্সিটিই এর অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি। তবে দরিদ্রতম এই রাজ্যের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলেও একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা এটাই প্রমাণ করে যে, আমেরিকা সত্যিই শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে কতটা সচেতন ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, মূলতঃ যার শক্তিতেই আজকের এই আমেরিকা উন্নয়নের এতটা শীর্ষে এসে পৌঁছেছে। স্পষ্টতই এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের বাঙালীদের সংখ্যা হাতে গোনা। মার্শাল ইউনিভার্সিটিতে ছোটভাই (ডঃ সরদার ইলিয়াস সাদিক, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষক) এবং আরো কয়েকজন শিক্ষক, ডাক্তার ও গবেষক ছাড়া তেমন কোন আর বাঙালী নেই এই শহরে। ২ দিনের ফাকে আমরা দেখে নিয়েছিলাম মার্শাল ইউনিভার্সিটিতে ছোট ভাইয়ের কর্মস্থল এবং হান্টিংটন সিটি সেন্টার ও কিছু পার্ক এলাকা। এই রাজ্যের রাজধানী চার্লস্টন (৭০ কিঃমিঃ দূরে) এবং অন্যান্য শহরগুলিতেও একই অবস্থা। ঘটনাচক্রে আলাপ হয়েছিল ভাস্তে সাদিদ যেখানে পড়াশুনা ও রিসার্চ করে (মার্শাল ইউনিভার্সিটির অধীনেই একটি হাসপাতালের মেডিকাল রিসার্চ বিভাগ) সেখানকার এক রিসেপশনিষ্ট মহিলার (মাঝবয়সী ও বেশ আলাপী) সাথে। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে বেড়াতে গিয়েছি শুনে অবাকই হল। এরপর যখন শুনল, আমরা নিউইয়র্ক থেকে অরল্যান্ডো, হিউষ্টন হয়ে স্থলপথে ওখানে গিয়েছি এবং সামনে নায়াগ্রা হয়ে টরন্টো পর্যন্ত স্থলপথেই যাব, সে বলেই ফেলল, ‘you have seen more of America than I have’। এ প্রসঙ্গে ভাস্তে সাদিদই বলল, আমেরিকার এই মধ্যাঞ্চলে অনেক লোক আছে যারা এখনো নিউইয়র্ক কিংবা ওয়াশিংটন দেখেনি, বিদেশ তো দূরের কথা। শুনে একটু অবাকই হলাম। সে তুলনায়, আমরা অনেক ভাগ্যবানই বলতে হবে। (চলবে)


আগের অংশ পরের অংশ






Share on Facebook               Home Page             Published on: 1-Oct-2016

Coming Events:





A day full of activities, games and fun.







Blacktown Lakemba Mascot