সুস্থ থাকার উপায় - পজিটিভ থিঙ্কিং অজয় কর
"পজিটিভ থিঙ্কিং এর কারণে মস্তিষ্কের হাইপোথালামাস থেকে যেসব কেমিক্যাল নি:সরণ হয় সেইসব কেমিক্যাল মানুষকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আর নেগেটিভ থিঙ্কিং-এর কারণে নি:সরিত কেমিক্যাল মানুষকে অসুস্থ করে তোলে", বলছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: সতিশ গুপ্ত। ভারতের গ্লোবাল হাসপাতালে ১৯৯৫ সাল থেকে হৃদরোগ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ডা: গুপ্ত "Soul-Mind-Body-Medicine" নিয়ে তার রিসার্চ টিমের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ক্যানবেরাতে দেওয়া এক সেমিনারে বলেন, "অস্ত্রোপচার আর ঔষধ দিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধি যেমন হৃদ রোগ সাময়িক ভাবে নিরাময় করা সম্ভব; তবে দীর্ঘ মেয়াদী নিরাময় সম্ভব পজিটিভ থিঙ্কিং এর মাধ্যমে।"
তিনি বলেন, "পজিটিভ থিঙ্কিং মানুষকে আনন্দ দেয়; মানুষ খুশী হয়। পজিটিভ থিঙ্কিং মানবদেহে অস্বাভাবিক স্নায়ু চাপের সৃষ্টি করে না। মানুষ যখন আনন্দে থাকে, হাসিখুশিতে থাকে তখন মানুষ রোগ যন্ত্রণা ভুলে যায় । মানুষ কাজে কর্মে উত্সাহ পায়। মানুষ শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ সবল থাকে। অপরদিকে নেগেটিভ থিঙ্কিং-এ মানুষ যেভাবে রিয়াক্ট করে সেই রিয়াকশনের কারণে আমাদের দেহের রক্ত চাপ বেড়ে যায়, বেড়ে যায় হৃদপিণ্ডের উঠা নামা, যেটাকে আমরা সহজ বাংলায় বুকের ধর-ফরানি বলি। নেগেটিভ থিঙ্কিং জনিত কেমিক্যাল শরীর আর মন দুটোকেই দুর্বল করে রাখে; মানুষ কাজে কর্মে উত্সাহ হাড়িয়ে ফেলে; মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।"
একুশে রেডিওর পক্ষে আমি তার কাছে এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন, পজিটিভ থিঙ্কিং এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, আর্থারায়টিস ও কিডনি রোগ সহ অনেক কঠিন রোগ নিরাময় সম্ভব।
তিনি বলেন, অতীত আর ভবিষ্যৎ ভাবনা থেকে অনেক দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়, আর দুশ্চিন্তা থেকে নেগেটিভ চিন্তা হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে বর্তমানকে নিয়েই ভাবা ভালো ।
সেমিনারে উপস্থিত অনেকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়মিত মেডিটেশন, ব্যায়াম আর পরিমিত ডায়েট মানুষকে পজিটিভ থিঙ্কিং -এ সাহায্য করে।
অজয় কর, ক্যানবেরা
|