ক্যানবেরা হাই কমিশনে বিজয় উৎসব
আফসার খান: মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণে আর বিজয়ের আনন্দ উৎসবে সমগ্র বাংলাদেশ যখন মেতে উঠেছিল, তখন সাড়া দিয়েছিল প্রতিটি বাঙালি হৃৎস্পন্দনও। গত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশের জলকণাতেও যেমন বিজয়ধ্বনি বেজেছে, তেমনি পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রত্যেক বাঙালি একইভাবে বিজয় উল্লাস করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পূর্ণ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালন করে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাঙালিরা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ হাই কমিশন ক্যানবেরায় উদযাপন করে বিজয় দিবস।
সকাল ৯ ঘটিকায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মিশনে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন মান্যবর হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসাইন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দেয়া বাণী পড়ে শোনানো হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান হাই কমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসাইন শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজয়ে অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধাসহ লাখো শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার কথা সগৌরবে স্মরণ করেন। এছাড়া দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার স্বপ্নের কথাও গৌরবের সাথে বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাননীয় এলিস্টার কো, ছায়া মন্ত্রী, এবং বিভিন্ন মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এরপর শিশুকিশোর এবং স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম সচিব নাজমা আক্তার।
|