বাংলাদেশ সোসাইটি অফ সিডনি স্মরণ করি বিজয় ক্ষণ আফসানা বিলকিস প্রীতি “সে এক বিষম জানকবুল জনযুদ্ধ, ওরা প্রাণপণ যুদ্ধ করেছিল, ওরা কিন্তু বিজয় দেখে যেতে পারেনি! আমরা তাই তাঁদের স্মরণ করি, এই বিজয় দিবসে” - ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস, বীর বাঙালির গৌরব আর অহংকারের মাস। রক্তনদী পেরিয়ে আসা আনন্দ-বেদনায় মিশ্র মহান বিজয় এ মাসে। কারও দয়ার দানে নয়, সাগর-সমান রক্তের দামে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বাধীনতা, রক্ত-সাগর পেরিয়ে বাঙালী জাতি পৌঁছেছে তার বিজয়ের সোনালি তোরণে। মহান বিজয় দিবসের এ মাসে সকল শহীদদের প্রতি সালাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছি। সেই সাথে বিজয়ের বিয়াল্লিশ বছর পূর্তিতে তোমাকে অভিবাদন, আমার বাংলাদেশ।
আনন্দ – বেদনায় শিহরিত গৌরবের বীরত্ব গাঁথা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় রৌদ্র করজ্জল দিন মহান ১৬ই ডিসেম্বর, আনন্দ-আপ্লুত বিজয় দিনের সেসব কথা। ১৯৭১ সালের এদিনে বাঙালির অর্জিত স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের পরাধীনতা ও অনিশ্চয়তার পুঞ্জিভূত নিকষ কালো-অন্ধকার ফুঁড়ে বাংলার বুকে জ্বলে উঠেছিল স্বাধীনতার স্বর্ণ। লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয় উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারো বাংলাদেশ সোসাইটি অফ সিডনি (বি ডি এস এস) যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫ই ডিসেম্বর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করলো স্বাধীনতা ও জাতীয় বিজয় উৎসব। সিডনিতে বসবাসরত বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারসহ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ সিডনির সদস্যবৃন্দ,শিক্ষক শিক্ষিকা এবং উপস্থিত অভিভাবক সহ সকলের সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টায় উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
সেদিন প্রবাসী বাঙ্গালীরা একসাথে সমবেত হয়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার সাথে স্মরণ করল জানা-অজানা সে শহীদ এবং বিরঙ্গনাদের যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। একই সাথে কৃতজ্ঞতা জানাল বেঁচে থাকা সব মুক্তিযোদ্ধাদের। ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১১.০১ মিনিটে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকা , বিডিএসএস এর পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা হয়। রোববার সকালে রকডেল বাংলা স্কুলের মাঠে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ সিডনির সভাপতি ডঃ মঞ্জুরুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব সোহেলুর রহমান মিঠুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহান বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু। অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথিদের বিশেষত ছোট ছোট শিশুদের কাছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা। তারপরই রকডেল পাবলিক স্কুলের মাঠে দিন ব্যাপী ক্রিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিয়া প্রতিযোগিতার আকর্ষণীয় বিভিন্ন ইভেন্টগুলো হল: ছোট ছোট বাচ্চাদের ৫০ এবং ১০০মিটার দৌড়,চকলেট এবং আঙুর দৌড়,মোরগ লড়াই , মহিলাদের বালিশ খেলা এবং পুরুষদের দৌড়।রকডেল বাংলা স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রী , বি ডি এস এস সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবক সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উক্ত অনুষ্ঠানের ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ওই দিনই দুপুরে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ সিডনির (বি ডি এস এস) পক্ষ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে এক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এভাবে দিনভর আয়োজনের মধ্যদিয়ে শেষ হল মহান বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য উদযাপন। সেদিনের ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হল:
মেয়েদের ৫০ মিটার দৌড়(ছোট) - প্রথমঃ সাবা দ্বিতীয়ঃ শারিনা জামান তৃতীয়ঃ নুসাইবা ফারুক মেয়েদের ১০০ মিটার দৌড়(বড়) - প্রথমঃ সাহিবা কালাম দ্বিতীয়ঃ আলিফা মনজুর তৃতীয়ঃ নাওমি এজাজ ছেলেদের ১০০ মিটার দৌড় (ছোট) - প্রথমঃ নাবিল সেলিম দ্বিতীয়ঃ নিয়াজ আহমেদ সানভি তৃতীয়ঃ আইয়ান ছেলেদের ১০০ মিটার দৌড় (বড়) - প্রথমঃ নাফি সেলিম দ্বিতীয়ঃ নেহাল নাফছি রুপাই তৃতীয়ঃ শাফি সেলিম মেয়েদের চকলেট দৌড় (ছোট) - প্রথমঃ শারিনা জামান দ্বিতীয়ঃ নুসাইবা ফারুক তৃতীয়ঃ সিকনুর আহমেদ মেয়েদের আঙুর দৌড় (বড়) - প্রথমঃ সাহিবা কালাম দ্বিতীয়ঃ আলিফা মনজুর তৃতীয়ঃ নাওমি এজাজ ছেলেদের চকলেট দৌড় (ছোট) - প্রথমঃ আইয়ান দ্বিতীয়ঃ নিয়াজ আহমেদ সানভি তৃতীয়ঃ নাবিল সেলিম ছেলেদের চকলেট দৌড় (বড়) - প্রথমঃ নেহাল নাফছি রুপাই দ্বিতীয়ঃ শাফি সেলিম তৃতীয়ঃ নাফি সেলিম ছেলেদের মোরগ লড়াই (বড়) - প্রথমঃ নাফি সেলিম দ্বিতীয়ঃ শাফি সেলিম তৃতীয়ঃ আবিদ জামান মহিলাদের বালিশ খেলা - প্রথমঃ মিসেস বৈশাখী দ্বিতীয়ঃ মিসেস প্রীতি তৃতীয়ঃ মিসেস বন্যা পুরুষদের দৌড় - প্রথমঃ মিঃ শফিক সেলিম দ্বিতীয়ঃ মিঃ মুস্তাফিজুল হাসান ডিউক তৃতীয়ঃ মিঃ হায়াত মাহমুদ
|